শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, জেলখানা আরাম আয়েশের জায়গা নয়। আবার পরক্ষণেই বলেছেন, কারাগার শান্তিতে স্বস্তিতে থাকার জায়গা। সেখানে তিনি বিশ্রাম নেবেন। ওবায়দুল কাদের যেন আইন আদালত নিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন। পরষ্পরবিরোধী কথা বলাতে আওয়ামী নেতাদের জুড়ি মেলা ভার। তাহলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিশ্রামের জন্য তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, প্রহসনের বিচারকার্য চালিয়ে, অন্যায় সাজা দিয়ে জেলে আটকিয়ে রেখেছেন কেন? এ ধরনের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকেরই বিশ্রাম নেয়ার সময় চলে এসেছে। কারণ তার কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে।
রিজভী আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী গণতন্ত্রকামী দল বিএনপি তুমুল আন্দোলন করে স্বৈরশাসক কীভাবে উৎখাত করতে হয় তা তারা ভালভাবেই জানে। কাদের সাহেব আপনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে, না তাকে ছাড়া যাবে এটি আদালতের বিষয়, সরকারের বিষয় নয়। আইন, প্রশাসন, বিচার সবই আপনাদের করতলে।
আইনমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব বলেন, গতকাল আইনমন্ত্রীর ভাষ্যেই প্রমাণিত হয়—খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো মামলা, অন্যায় রায় এবং এখনও রায়ের কপি না দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে সরকার।
এ সময় রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র মুখপাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফেব্রুয়ারি মাসে যেভাবে মুখের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছিল, সেই একইভাবে বর্তমান স্বৈরশাসক উৎপীড়িত জনগণের প্রতিবাদকে বাধা দেয়ার জন্য তাদের আশা-ভরসার প্রতীক দেশনেত্রীর কণ্ঠকে রুদ্ধ করার জন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, কাদের সাহেব আপনারা গণতান্ত্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি ও নির্বাচন উভয়ই দিতে ব্যর্থ। সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি। যে দেশে বিরোধী দল সরকারকে উদ্দেশ করে কিছু বললেই জেল-জুলুম সহ্য করতে হয় সে দেশে কী তন্ত্র চালু আছে সেটি জনগণ আপনার কাছ থেকে জানতে চায়। কেউ সমালোচনা করে ফেসবুক এ কিছু লিখলেই তাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে আটক করা হয় সেটা কী জীবিত গণতন্ত্র নাকি গণতন্ত্রের মৃতদেহ? সবার অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভয়েই দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে।