খালেদা জিয়া দেশের জনপ্রিয় নেত্রী। ৭৫ বছর বয়সের এ নেত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে জেল দেয়া হয়েছে। সরকার মনে করেছিল, এ কাজের মাধ্যমে তারা বাহবা পাবে। কিন্তু আমার মতে, গত নয় বছরে এ সিদ্ধান্ত হলো সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে।
বললেন ২০ দলীয় জোটের নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বীরবিক্রম।শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ করে বলেন, আগামী এক বছর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটপূর্ণ সময়। কারণ সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।
এ সময় ২০ দলীয় জোট নেতা বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।