সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টোয়েন্টিতে শ্রীলংকার কাছে ৭৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো স্বাগরতিকরা মাত্র ৬৮ রানেই হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪ ওভারে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সিলেটে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান সংগ্রহ করে; এটা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে লংকানদের আগের সর্বোচ্চ ৫ উইকেটে ১৯৮; ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে এই রান করেছিল তারা।
গত অক্টোবরে পচেফস্ট্রুমে ৪ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা করা ২২৪ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে শূন্য রানে ফেরেন সৌম্য সরকার। আর তৃতীয় ওভারে শেহান মাদুশাঙ্কার বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। মাদুশাঙ্কার একই ওভারের শেষ বলে ৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাংলাদেশের ইনিংসে অর্ধশতকের পর বিদায় নেন তামিম ইকবাল। ২৩ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ২৯ করে আপোনসোর বলে বিদায় নেন এই ওপেনার। পরে জীবন মেন্ডিসের বলে ২ রানে মাঠ ছাড়েন আরিফুল হক।
ইসুরু উদানার ১৫তম ওভারে বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। রান আউটের শিকান হন ৩১ বলে ৪১ রান করা মাহমুদউল্লাহ। আর ক্যাচ আউট হন ২০ রান করা সাইফউদ্দিন।
১৯তম ওভারে গুনাথিলাকার শিকার হন মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু জায়েদ রাহি। আর আগের ওভারেই মেহেদি হাসানকে ফেরান শানাকা।
শ্রীলংকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শানাকা ও গুনাথিলাকা।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রান করে শ্রীলংকা। দলের পক্ষে কুশল মেন্ডিস ৪২ বলে ৭০, দানুস্কা গুনাথিলাকা ৪২, থিাসার পেরেরা ৩১ ও উপুল থারাঙ্গা ২৫ রান করে আউট হন।
তবে দাসুন শানাকা ৩০ ও অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল ২ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সৌম্য সরকার।
এ ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। অনুশীলনে চোট পাওয়ায় প্রথম টি-২০ খেলতে পারেননি তিনি। এছাড়া অভিষেক হয়েছে পেসার আবু জায়েদ রাহি ও স্পিনার মেহেদি হাসান। আর সাব্বির রহমানের পরিবর্তে দলে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলংকা: ২০ ওভারে ২১০/৪ (গুনাথিলাকা ৪২, মেন্ডিস ৭০, থিসারা ৩১, থারাঙ্গা ২৫, শানাকা ৩১*, চান্দিমাল ২*; জায়েদ ১/৪৫, নাজমুল ০/২৮, মেহেদি ০/২৫, মুস্তাফিজ ১/৩৯, সাইফ ১/৪৬, সৌম্য ১/২৫)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৩৫ (তামিম ২৯, সৌম্য ০, মুশফিক ৬, মিঠুন ৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আরিফুল ২, সাইফ ২০, মেহেদি ১১, মুস্তাফিজ ৮, জায়েদ ২, নাজমুল ১*; মাদুশাঙ্কা ২/২৩, ধনঞ্জয়া ১/২০, শানাকা ১/৫, থিসারা ০/৩৩, আপনসো ১/৩১, জীবন ১/৮, উদানা ১/১২, গুনাথিলাকা ২/৩)
ফল: শ্রীলংকা ৭৫ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: কুশল মেন্ডিস
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী শ্রীলংকা।