রাফি সম্পাদনায় , স্বদেশ নিউজঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের যদি কেউ ক্ষতি করে থাকে তা করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে ৯২ দিন হরতাল-অবরোধের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
আজ বুধবার দুপুরে ভোলার বাংলাবাজারে ফাতেমা খানম কলেজ অডিটরিয়ামে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাদিক ভাষা দিবেসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা তত্বাবধায়ক সরকার ও সহায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখেন, তারা সেই সপ্ন ভুলে যান। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন। নির্বাচনকালীন সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে আর কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি কেউ আন্দলনের নামে অরাজগতা করার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের কর্তব্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ৯৬ সনে ক্ষমতায় না আসলে স্বাধীনতার মূল্যবোধ চেতনা আবার প্রতিস্থাপন করতে পারত না। আওয়ামী লীগ যদি ২০০৯ সনে সরকার গঠন না করতো তা হলে যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচার হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে এই বিচার হতো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে উন্নয়ন হয়।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভোলার চেহারা পাল্টে যাবে। ভোলা হবে সিঙ্গাপুর। ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। গ্যাসের উপর ভিত্তি করে অনেক শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই আবার আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় আনতে হবে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় অধ্যাপক গবেষক মনতাসির মামুন, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে মন্ত্রী বাংলা বাজরের স্বাধীনতা জাদুঘর পরির্দশন করেন। এছাড়া বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন তিনি।