শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক বলেন, আমাদের আইনজীবীরা প্রমান করে উপস্থাপন করতে পেরেছেন যে, এই মামলায় খালেদা জিয়াকে কোন প্রকারই সাজা হয় না। তাহলে কোথা থেকে আসলো এই সাজা? আমরা শুনতে পেরেছি রায়ের চারদিন আগে বিচারিক আদালতের কেউ একজন সচিবালয়ে নাকি কত বছর তাকে সাজা দেয়া হবে তা ড্রাফট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা জোর গলায় চিৎকার করে বলতে চাই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কাল্পনিক মামলায় সাঁজা দেয়া হয়েছে। এদিকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা। এটা গণতন্ত্রের নমুনা নয়।
১৯৭৫ সালে ২ মিনিটে সংসদে আওয়ামী সরকার যে বাকশাল কায়েম করেছিল, বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে তারা আবারো সেই পরিকল্পনা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন সেই বক্তব্যগুলো দয়া করে বন্ধ করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে দিন। দেশে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বংশাল থানা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রাজি, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।