আজ রবিবার পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস। ৯ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৮ জন সেনা সদস্য (৫৭ জন কর্মকর্তা ও একজন সৈনিক) নিহত হন। আজ ও আগামীকাল তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদদের স্মরণে আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানরা। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আগামীকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পিলখানার বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ একটি কালো দিন। ৯ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় ৫৮ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এ মামলায় প্রায় তিন মাস আগে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেও এখনো রায় লেখা চলছে বলে জানা গেছে। এই রায়ের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ অপেক্ষায় রয়েছে। রায় কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়েও কারো ধারণা নেই। তবে উভয় পক্ষ দ্রুত রায়ের কপি পাবে বলে প্রত্যাশা করছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিল করার জন্য উভয় পক্ষের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।