বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েছ ছাড়াও শীর্ষ তিন নেতা এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার দাবিদার। এছাড়া বিএনপির চার ও জাতীয় পার্টির পাচঁজন প্রার্থী মনোনয়ন পেতে মরিয়া।
তবে এ আসনের শক্তিশালী প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান এমপি মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েছ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী।
অন্যদিকে সামাদ চৌধুরীকে ঠেকাতে নিজ দল আওয়ামী লীগসহ, বিএনপি ও জাপার প্রার্থীরা এখন মরিয়া। এবার তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীব।
মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী বলেন, এবারও মনোনয়ন চাইব। আমি নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। জনগণের ভালোবাসা আর দলের জন্য কাজ করার কারণে আগামীতে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।
অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকেই অগ্রাধিকার দেব। তিনি আমাকে যে আসনে মনোনয়ন দেবেন সেই আসন থেকেই নির্বাচন করব।
হাবীবুর রহমান হাবীব জানান, ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। নেত্রী আমাকে এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।মনোনয়ন চাইব। আগামীতে মানুষের পাশে থেকে সেবামূলক ও উন্নয়ন কাজ করে দেশের অগ্রযাত্রায় একজন কর্মী হিসেবে স্থান পেতেই আমি পথ চলছি।
অপরদিকে বিএনপিতেও বিদ্রোহের কমতি নেই। দলীয় মনোনয়ন চান অন্তত চারজন। তারা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গফ্ফার, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার এমএ সালাম।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানান, মনোনয়ন চাওয়ার এখতিয়ার নেতাদের আছে। তবে মনোনয়ন চাওয়া একটা ব্যাপার আর দল থেকে মনোনয়ন পাওয়াটা হলো ভিন্ন বিষয়।
বিএনপির হাইকমান্ড মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে সবসময়ই যোগ্য নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, এ আসনে দলের চেয়ারপার্সনের আস্থাভাজন নেতা শফি চৌধুরীই মনোনয়ন পাবেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক এ আসনে একবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারও মনোনয়ন চাইতে পারেন।তার বিপরীতে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা জাপার সদস্য সচিব উছমান আলী চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও যুক্তরাজ্য জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার ইম্মানুল হামিদ এনাম ও মুহিদুর রহমান।
উছমান আলী জানান, দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব অনেক আগেই আমাকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।গত নির্বাচনেও আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করি। এবারও দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী। চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন।