১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়।
জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই অভিনেতা সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও টেলিভিশনে তার অভিনীত গুটি কয়েক নাটক প্রচারিত হয়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহ:
১। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, সহ অভিনেত্রী মৌসুমী
২। ‘তুমি আমার’ পরিচালক জহিরুল হক ও তমিজউদ্দিন রিজভী, সহ অভিনেত্রী শাবনূর
৩। ‘অন্তরে অন্তরে’ পরিচালক শিবলী সাদিক, সহ অভিনেত্রী-মৌসুমী
৪। ‘দেন মোহর’ পরিচালক শামসুদ্দিন টগর, সহ অভিনেত্রী মৌসুমী
৫। ‘তোমাকে চাই’ পরিচালক মতিন রহমান, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
৬। ‘বিক্ষোভ’ পরিচালক মোহাম্মদ হান্নান, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
৭। ‘বিচার হবে’ পরিচালক শাহ আলম কিরণ, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
৮। ‘প্রেম পিয়াসী’ পরিচালক রেজা হাসমত, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
৯। ‘আনন্দ অশ্রু’ পরিচালক শিবলী সাদিক, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১০। ‘আশা ভালবাসা’ পরিচালক তমিজুদ্দিন রিজভী, সহ অভিনেত্রী-শাবনাজ
১১। ‘জীবন সংসার’ পরিচালক জাকির হোসেন রাজু, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১২। ‘মহা মিলন’ পরিচালক দিলীপ সোম, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১৩। ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ পরিচালক বাদল খন্দকার, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১৪। ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পরিচালক এম. এ. খালেক, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১৫। ‘এই ঘর এই সংসার’ পরিচালক মালেক আফসারী, সহ অভিনেত্রী- বৃষ্টি
১৬। ‘আঞ্জুমান’ পরিচালক হাফিজউদ্দিন, সহ অভিনেত্রী-শাবনাজ
১৭। ‘কন্ন্যাদান’ পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সহ অভিনেত্রী- লীমা
১৮। ‘মায়ের অধিকার’ পরিচালক শিবলী সাদিক, সহ অভিনেত্রী- শাবনাজ
১৯। ‘প্রেম যুদ্ধ’ পরিচালক জীবন রহমান, সহ অভিনেত্রী- লীমা
২০। ‘স্নেহ’ পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সহ অভিনেত্রী-মৌসুমী
২১। ‘সত্যের মৃত্যু নাই’ পরিচালক ছটকু আহমেদ, সহ অভিনেত্রী-শাহনাজ
২২। ‘সুজন সখী’ পরিচালক শাহ আলম কিরণ, সহ অভিনেত্রী-শাবনুর
২৩। ‘তুমি আমার’ পরিচালক, জহিরুল হক,সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
২৪। ‘প্রিয়জন’ পরিচালক, রানা নাসের,সহ অভিনেত্রী-শিল্পী
২৫। ‘স্বপ্নের নায়ক’,পরিচালক নাসির আহমেদ, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
২৬। ‘প্রেম পিয়াসী,পরিচালক’ রেজা হাসমত,সহ অভিনেত্রী-শাবনুর
২৭। ‘বুকের ভিতর আগুন’ পরিচালক, ছটকু আহমেদ, সহ অভিনেত্রী-শাবনূর
১৯৮৫-১৯৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় কথার কথা নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। এর কোন একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়।
হানিফের সংকেতের স্বকন্ঠে গাওয়া এই গান এবং মিউজিক ভিডিও দুটোই অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত। একজন সম্ভাবনাময় সদ্য তরুন তার পরিবারের নানারকমের ঝামেলার কারনে মাদকাসক্ত হয়ে মারা যায়, এই ছিল গানটার থিম। গানের প্রধান চরিত্র অপূর্বর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়াতে প্রথম আলোচিত হন। তখন অবশ্য তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন। মিউজিক ভিডিওটি জনপ্রিয়তা পেলেও নিয়মিত টিভিতে না আসার কারনে দর্শক আস্তে আস্তে সেই ইমনকে ভুলে যায়।
আরো কয়েক বছর পর অবশ্য তিনি আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় পাথর সময় নাটকে একটি ছোট চরিত্রে এবং কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক সমূহ:
‘পাথর সময়’, ‘ইতিকথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’।
রূপালী পর্দার উজ্জল নক্ষত্র সালমান শাহ’র মৃত্যু মাত্র কয়েক বছরের অভিনয় জীবন শেষে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মাত্র ২৫ বছর বয়সে লক্ষ দর্শককে কাঁদিয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন এই নন্দিত অভি্নেতা।
সেই দিন সালমানের পৃথিবী থেকে চিরদিনের মতো চলে যাওয়ার দিনটা শুরু হয়েছিল অন্যান্য দিনের মতোই! কিন্তু শেষটা হয় এক হতবাক হওয়া সংবাদের মাধ্যমে। গভীর রাতে নিজ বাসভবনে আত্মহত্যা করেছেন সালমান!
তবে এ ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে চালালেও সালমানের পরিবার বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেন।