শুরুতে কাপুর পরিবার জানিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তারপর ফরেন্সিক রিপোর্টে এসেছে দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের বাথরুমের বাথটাবের পানিতে দম আটকে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। তবে মৃত্যুর আগে রক্তের নমুনায় অতিরিক্ত অ্যালকোহল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তারা। এদিকে একের পর এক রহস্যের দানা বেঁধেছে ভারতবাসীর মনে।
হোটেলের বাথরুমে মৃত্যু! ববি কাপুরের অনুপস্থিতি! দুবাই পুলিশের তদন্ত! ফরেন্সিক রিপোর্ট পেতে ঢিলেমি! সব মিলে তুমুল জলঘোলা!
এদিকে সোমবার দুবাই পুলিশ জানিয়ে দিলো শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে কোনো রহস্য নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি অপারে গেছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুবাই থেকে মুম্বইয়ের উদ্দ্যেশে শবদেহ ফেরত পাবে ভারতবাসী।
কিন্তু এ ধরনের কাজে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুই-তিন দিন লেগেই যায় আমিরাতে। তবে রিপোর্টে যাই বলুক না কেনো, দুবাই পুলিশ এরইমধ্যে শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্তভার পাবলিক প্রসিকিউটরের হাতে তুলে দিয়েছে।
এদিকে ভারতের বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তিনি বলেন, শ্রীদেবী জীবনে কোনদিন মদ খান নি, তিনি মদ খেয়ে বাথটাবে ডুবে মারা গেলেন এটা হতে পারে না। অ্যাকসিডেন্ট নয়, শ্রীদেবীকে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য বলিউডের অপরাধ জগতের সম্পর্কও থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এই নেতা।
এদিকে শুধু বিজেপি সাংসদ স্বামী নন, সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিং ও একই কথা বলেছেন। তারা দুজনেই শ্রীদেবীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের দুজনেরই বক্তব্যে সন্দেহের তীর খুনের দিকেই!