মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। তবুও ভারতের গায়ে ফেবারিট তকমা থেকে যাচ্ছে। কোহলি-ধোনি ছাড়াও রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের যে দলটা দেওয়া হয়েছে সেটিও যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে ভারতীয় দলে কোহলি-ধোনি না থাকা মানে প্রতিপক্ষের জন্য নিশ্চয়ই বড় স্বস্তি। এ সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।
শুধু ধোনি-কোহলিই নন, এ সিরিজে বিশ্রামে আছেন ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পান্ডিয়ারা। চোটে পড়ে আগে থেকেই নেই কুলদীপ যাদব। ভারতের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এ বিশ্রাম বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও যে মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা দেবে, সেটিই বললেন বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, ‘মানসিকভাবে একটু তো সুবিধা থাকেই। তবে ভারত এমন একটা দল যাদের বিকল্প খেলোয়াড় অনেক। ওদের যারাই খেলার সুযোগ পায় দুর্দান্ত খেলে। ওরা জানে যে ভালো খেলার এটাই সুযোগ। শক্তির কথা যদি বিবেচনা করেন তারা অতটা পিছিয়ে থাকবে না। হ্যাঁ, যদি কিছু নাম দেখেন, তাদের কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় যদি না থাকে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষ একটা মনোবল পাবে। আশা করছি, এটা আমরা কাজে লাগাতে পারব।’
ভারতীয় দলে ধোনি-কোহলিদের মতো বড় তারকা যেমন নেই, বাংলাদেশ দলেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফেরানো যায়নি। বছরের শুরুতে দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একের পর এক সিরিজ হার। বিদেশের মাটিতে বছরের প্রথম সফর কতটা রাঙাতে পারবে বাংলাদেশ? তা-ও আবার এমন সংস্করণে, যেটি আবার সাকিবদের কাছে বরাবরই গোলকধাঁধা!
সফরটা কঠিন জেনেও আকরাম খান আশা হারাচ্ছেন না, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের জয়ে ফেরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ম্যাচ জিততে পারেন মানসিক-শারীরিকভাবে সবাই চনমনে হবে। প্রতিপক্ষ দুটিই শক্তিশালী দল। শ্রীলঙ্কা নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। আপনি যদি তিন সংস্করণের তুলনা করেন আমরা টি-টোয়েন্টিতে দুর্বল। এটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলোয়াড়দের ভালো খেলা। আমাদের এ দলই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। পারফরম্যান্স হচ্ছে ঢেউয়ের মতো, কখনো উঠবে, কখনো নামবে। আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, আশা করি এখান থেকে ভালো অবস্থানে আসত পারব।’