বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, হজে প্রতারণা ঠেকাতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে সরকার। এমনকি হাজীদের যাতে কোনো রকম বিড়ম্বনা পোহাতে না হয় সেজন্য শুরু থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
তিনি বলেন, পূর্বের বছরগুলোতে হজযাত্রীদের তথ্য যাচাইয়ের লক্ষ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বাধ্যবাধকতা ছিল। নতুন হজ নীতিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কার্যক্রম বিলুপ্ত করা হয়েছে। নিবন্ধনের পর কোনো হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করা যাবে না। তবে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থ্যতার কারনে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, কোনো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী তথাকথিত কাফেলা, গ্রুপ লিডারের সঙ্গে হজের লেনদেন করে প্রতারিত হলে সরকার এর দায় নেবে না। এবার বিভিন্ন রকমের জটিলতা নিরসনে হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনার বাড়ি ভাড়ার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। হজ ফ্লাইট বিপর্যয় রোধকল্পে সুষ্ঠু ফ্লাইট পরিচালনার স্বার্থে এয়ারলাইন্স কর্তৃক টিকেট বিক্রয় বা বুকিং সরাসরি সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকে প্রদান ও অনলাইনে প্রদর্শনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা হজ সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনের আগে এজেন্সি কর্তৃক প্রদেয় সুযোগ সুবিধার বিষয়ে যথাযথ অবহিত করবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম নং ১৫ পূরণ করে চুক্তি সম্পাদন পূর্বক নিজের কাছে তা অবশ্যই সংরক্ষণ করবেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সির সঙ্গে সরাসরি হজ সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেন করতে হবে অন্যথায় সরকার এ বিষয়ে কোনো দায় নেবে না। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা চুক্তি মোতাবেক প্রদেয় অর্থ সরাসরি হজ এজেন্সির ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়ে অবশ্যই ব্যাংক থেকে প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ ও তা সংরক্ষণ করতে হবে।
মন্ত্রী নিবন্ধন করা প্রথম ব্যক্তি শাহ জওয়াহের জাহান কবীরকে তার নিবন্ধের কাগজ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন।