বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থানকারী প্রায় সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। তবে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি, মাইকিং ও অন্যান্য তৎপরতাকে তাদের নিয়মিত নিরাপত্তা কার্যক্রম বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক শেষে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র কমান্ডার লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান এ কথা জানান।
লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, বৃহষ্পতিবার রাতে রোহিঙ্গাদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। জিরো লাইনে অবস্থানকারীদের ঠিক কবে থেকে ফেরত নেওয়া হবে তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলেননি তারা।
এদিকে, বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর সেখানকার রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রোহিঙ্গা আবু সালাম জানান, ফিরে যেতে বাধ্য হলে তারা নিশ্চিতই মিয়ানমার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হবেন। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ কেউই মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি নয় বলে জানান আরেক রোহিঙ্গা মো. আসগর। তিনি বলেন, মিয়ানমারে আমরা মোটেও নিরাপদ নই। আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই।