২০১৫ সালের বিশ্বকাপে সহ আয়োজক হয়েও খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ড তারকা কলিন মুনরো। ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার স্বপ্ন দেখছেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সেটা যাতে কোনেভাবেই মিস না হয় সে জন্য লংগার ভার্সন ও টেস্ট ক্রিকেট না খেলতে মনস্থির করেছেন কলিন মানরো। ক্রিকেটে অভিষেকের পর মাত্র একটি টেস্ট খেলেছেন এই তারকা।ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম নিখুঁত এই ব্যাটসম্যান সবশেষ ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ০ ও পরের ইনিংসে ১৫ রান করেন। এরপর তিনি আর নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের সেরা একাদশে জায়গা পাননি।
এই সময়ের মধ্যে তিনি ৩৯টি ওয়ানডে ও ৪৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু টেস্টের জন্য আর নির্বাচিত হননি। অথচ ৪৮টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি রান করেছেন ৩ হাজার ৬১১টি। গড় ৫১.৫৮।
১৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ১৫টি হাফ সেঞ্চুরি।কলিন মুনরো বলেন, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ড ও অকল্যান্ড এসেসের হয়ে খেলতে আমি শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি তাদের হয়ে আমি কিছু বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। তাছাড়া দলের হয়ে বড় কিছু অর্জন করতে চাই আমি। বিশেষ করে পরবর্তী বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে আমি আমার সেরাটা দিবো। আপাতত আমার লক্ষ্য এটাই। আশাকরি অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই আমার সেরা পছন্দ। এই সিদ্ধান্তটা আমি আমার নিজের জন্য নিতে চাই।
তাছাড়া মনে হয় এই সিদ্ধান্ত আমার ক্যারিয়ারকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।অভিষেকের পর আরো টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন মুনরো। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি।
ক্ষোভ না থাকলেও মুনরো বলেন, আমি যদি বলি যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে আমি টেস্ট খেলতে চাইনি তাহলে মিথ্যে বলা হবে। আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে সে সময় আরো টেস্ট খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে সে সময় যেসব খেলোয়াড় এসেছে তারা টেস্টে দারুণ করেছে। সে কারণেই হয়তো আমি আর সুযোগ পাইনি।মুনরোর এই সিদ্ধান্তের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতেও রাখা হয়নি তাকে।