জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি চলছে।
রোববার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগের রোববারের কার্যতালিকায় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন দু’টি ৯ ও ১০ নম্বরে রয়েছে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করে।
এতে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট যেসব গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে সেসব ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করার সুযোগ নেই।
এর আগে গত বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চ্যালেঞ্জ করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল আবেদন করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ রোববার পর্যন্ত স্থগিত করে লিভ টু আপিল করতে বলেন।
গত সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করতেও নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এ ছাড়া এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর চার আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।