রাজবাড়ীর দুই হাজারেরও বেশি পান চাষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঋণের অভাব, পোকার আক্রমন, অনাবৃষ্টি, খরা, বাজার দরের চেয়ে উৎপাদন ব্যয় বেশি সর্বোপরি পান চাষে প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেলার ৫টি উপজেলার নওপাড়া, বারৈপাড়া, রামদিয়া, বহরপুর, হাট বাড়িয়া, রতনদিয়া, জামালপুর, বসন্তপুর, প্রভৃতি এলাকার কৃষকেরা পান চাষের উপর নির্ভরশীল। ঠিক মত ঋণ না পাওয়ায় পান চাষ করতে গিয়ে গরিব চাষিরা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয়। এরপর পান বিক্রি করে মহাজনের ঋণের টাকা পরিশোধ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে অনেক পান চাষি গরু ও জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়।বরোজ তৈরির উপকরণ বাঁশ, খড় ও পাটখড়ির দাম নাগালের বাইরে। আগের তুলনায় বর্তমানে এ সব উপকরণের মূল্য কয়েক গুণ বেশি। আবার চাহিদা ও সময় মত এ সব পাওয়া যায় না।পান চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাঁশ। এলাকায় বাঁশ এখন দুর্মূল্য হয়ে পড়েছে। পান চাষিরা পানের ন্যায্য মূল্য এমন কি উৎপাদন খরচটাও উঠাতে পারে না।অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙ্গে পড়া বরোজগুলো অর্থের অভাবে পুনরায় তৈরি করতে না পাড়ায় সেগুলো বিলীন হয়ে যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের একটি সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীতে আগের চেয়ে পান চাষ এখন অনেক কম হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, পান চাষে যদি সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয় তা হলে এ জেলায় পানের উৎকৃষ্টতর আবাদ সম্ভব।