আকাশি সাদা জার্সি আর্জেন্টিনার জন্যই সুপ্রসন্ন। আর্জেন্টিনা যতগুলো ম্যাচে এ জার্সি পরে খেলেছে বেশি ম্যাচগুলোতেই জয়ের মুখ দেখেছে। পক্ষান্তরে নীল জার্সি পরে আর্জেন্টিনা উল্লেখযোগ্য ম্যাচগুলো হেরেছে। যার কারণে এ জার্সিকে অনেকেই ‘কুফা’ বলে অবহিত করে থাকেন। বিশেষ করে ২০১০ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা কোচ থাকাকালীন কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। আবার একই জার্সি পরে ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে জামার্নির বিপক্ষে শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া ফসকে যায়। এ দুই ম্যাচেই নীল জার্সি পরে খেলে আর্জেন্টিনা। আর ৮৫ দিন পর মাঠে গড়াবে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে দলগুলো যেভাবে পারছে নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছে। শুক্রবার নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে মূল পর্বে জায়গা না পাওয়া ইতালির।
তবে এর আগে নিজের অ্যাওয়ে ম্যাচের জার্সি উন্মোচন করেছে দলগুলো। জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস নয়টি দেশের জার্সি উন্মোচন করেছে।ইতিহাসে কখনো যা দেখা যায়নি, এবার তাই দেখা যাবে রাশিয়া বিশ্বকাপে। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা ছোয়া হয়নি মেসি। ওই ম্যাচে নীল জার্সিতে মাঠে ছিলেন মেসি-হিগুয়েনরা। এবার সেই অ্যাওয়ে জার্সি পাল্টে প্রথমবারের মতো মেসিরা মাঠে নামবে কালো রঙের জার্সি পরে। জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস সেই ছবি পোস্টও করেছে।তবে মূল জার্সি থাকবে আকাশি সাদা। এ জার্সির সঙ্গে আর্জেন্টিনার অনেক ইতিহাস জড়িত।
ম্যারাডোনা ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে এই জার্সি পরেই মাঠ মাতিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিলেন। ওই জার্সিতে খেলে গেছেন বাতিস্তুতার মত তারকারাও।জার্মানির জার্সিতে থাকছে সবুজাভ, যা ১৯৯০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের জার্সির আদলে তৈরি। আশির দশকের শেষ দিকের আদলে স্পেনের অ্যাওয়ে জার্সি সাদা-নীল।এ ছাড়া রাশিয়া, বেলজিয়াম, সুইডেন, মেক্সিকো, কলম্বিয়া ও জাপানের অ্যাওয়ে জার্সিও উন্মোচন করা হয়েছে কাল। এদিকে নাইকির জার্সিতে খেলবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। গতকাল উন্মোচন করা হয়েছে সেই জার্সিও।