শুধু দেশেই নয়, বিদেশি অনেক ভক্তও পছন্দ করেছিলেন ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানটি। এটি দিয়ে ক্যারিয়ারের সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন চলতি প্রজন্মের মিউজিক ক্রেজ ইমরান মাহমুদুল। ২০১৫ সালে প্রকাশের পর পরই এ গানটি রাতারাতি শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়ে যায়।
সংগীতার ব্যানারে ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ শীর্ষক একক অ্যালবামে ঠাঁই পেয়েছিল এ গানটি। শফিক তুহিনের কথায় এর সুর ও সংগীতায়োজনও করেন ইমরান। বেশ বড় আয়োজনের এর ভিডিও প্রকাশ পায়।
এবার সেই ভিডিওটি ইউটিউবে একটি মাইলফলক অতিক্রম করলো। সম্প্রতি গানটি দুই কোটিরও বেশি দর্শক উপভোগ করার রেকর্ড গড়েছে। ভিউটা বড় বিষয় নয়, গানটি যেভাবে দেশ ও দেশের বাইরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়েছে সেটাকে মূল সার্থকতা বলে মনে করেন ইমরান।
তিনি বলেন, ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ এমন একটি গান যেটির আসলে শ্রোতাপ্রিয়তাই হচ্ছে বড় বিষয়। দেশে-বিদেশে এ গানটির জন্য আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। কোনো কনসার্টে যখন গাই তখন পুরো গানটি শ্রোতারা আমার সঙ্গে গেয়ে থাকেন। গানটির ইউটিউব সাফল্যও আবেগ আপ্লুত করেছে আমাকে।
এদিকে ইমরানের এ গানই শুধু নয়, তার ও ন্যান্সির কণ্ঠে নতুন করে গাওয়া ‘অনেক সাধনার পরে’ গানটিও গতকাল এক কোটির ঘর অতিক্রম করেছে ইউটিউবে। তাই সব মিলিয়ে দুটি সাফল্য একই সঙ্গে ধরা দিয়েছে ইমরানের।
এ শিল্পী বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন পহেলা বৈশাখমুখী ব্যস্ততায়। এরই মধ্যে বেশ কিছু গান তিনি তৈরি করেছেন এ দিবসটি উপলক্ষে। এর মধ্যে কয়েকটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। আর বাকি রয়েছে কয়েকটি। কমপক্ষে দুটি মিউজিক ভিডিও আসছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইমরানের প্রকাশের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে কয়েকটি গানের কাজ করেছি। এরমধ্যে বেশিরভাগ গানই আমার একক কণ্ঠের। অডিও’র পাশাপাশি দু’-একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হবে। আশা করছি ভালো লাগবে শ্রোতা-দর্শকদের।