সরকার বলছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না। অথচ উল্টো সরকারই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সরকার নিজেই সমাবেশ-শোভাযাত্রা করে চরম জনদুর্ভোগ তৈরি করছে। এসব জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। বললেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। গোটা ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অচল হয়ে গেছে, জনজীবন হয়ে গেছে সম্পূর্ণভাবে স্থবির, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। রিজভী বলেছেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র স্বরবিদ্ধ, সুশাসন আওয়ামী চাকায় পিষ্ট। এই গণতন্ত্রহীণ দেশে লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে এরা উন্নয়ন বলছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করতে বিভিন্ন দেশে লবিং করছে সরকার। এসব করতে গিয়ে কয়েকটি দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়েছে।
আওয়ামী লীগ একতরফা ভোট করতে যতই ষড়যন্ত্র করুক, তা আর সফল হবে না। জনগণ তাদের সব চক্রান্ত রুখে দেবে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়েও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য সরকারের একটি সেল রয়েছে। সেসব সেল থেকে এসব অনলাইনে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে এসব নিউজ করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।