বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরু হতে বাকি রয়েছে মাত্র ৮৪ দিন। তার আগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান রানার্সআপ আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। যদিও ইউরোপের দলটি এবারের মূলপর্ব নিশ্চিত করতে পারেনি।বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে দারুণ ফর্মে রয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো। তাই চিরচেনা এই মাঠে তার প্রতি থাকবে সমর্থকদের বাড়তি প্রত্যাশা।

অন্যদিকে লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের অভিযানের আগে এই ম্যাচে আলবিসেলেস্তেদের হয়ে গা ঘামিয়ে নিতে পারবেন। বার্সার জার্সি গায়ে একের পর এক সাফল্য পেয়ে চলছেন ৩০ বছর বয়সী এই তারকা। পাশাপাশি রেকর্ড বুকে রোজই নিজের নামের পাশে নতুন নতুন পরিসংখ্যান যোগ করছেন। রয়েছে ৮টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ফিফার ব্যালন ডি’ অর জিতেছিলেন পাঁচবার। কিন্তু আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে বারবার সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছেও শেষ ধাপে শুধু ব্যর্থতার সঙ্গীই হয়েছেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল হোক বা কোপা আমেরিকার ফাইনাল।

শেষবার কোপার ফাইনালে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর মাঠে না নামার ঘোষণাও দিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। ফের পরিস্থিতি বুঝে মেসি দলে ফেরেন। যার জন্য সমর্থকরা বলে থাকেন মেসি ক্লাবের জার্সিতে সফল কিন্তু দেশের জার্সিতে বর্ণহীণ।যদিও আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি তারই। পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খাদের কিনারায় পড়া দলটিকে টেনে মূলপর্বে নিয়ে আসার নায়কও কিন্তু এই মেসিই।দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে অনেকেই মেসিকে তুলনা করাতে চেয়েছেন, তবে সর্বকালীন সেরার তকমা দিতেও অনেক সমালোচক বিমুখ। ১৯৮৬ সালে প্রকৃত অধিনায়ক হিসেবে ম্যারাডোনা দেশকে সোনালী রংয়ের কাপটি এনে দিয়েছিলেন। মেসি নিজেও এই অপবাদ দূরে সরিয়ে এবারের বিশ্বকাপে আবার নতুন করে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া। তিনি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চান আমার এই বিশ্বকাপটা ভালো যাক। আর সত্যি হলো আমার এই বিশ্বকাপ দারুণ যাবে।

সম্প্রতি এক টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে মেসি আরও বলেছেন, আমি অনেকবার এই ধরণের ম্যাচে কেঁদেছি, ফাইনালে হারের জন্য, যেটা সবার জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি। দেশের স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। এটা একটা বড় আঘাত।  ২০২২ বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টাইন দলপতির ফুটবল ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ লগ্নে পৌঁছে যাবে। তাই বিশ্বসেরা হতে আরও মরিয়া তিনি। এরইমধ্যে ৩০ এর পাশে সার্জিও অ্যাগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়েইন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস ওটামেন্ডি, জ্যাভিয়ের মাসচেরানোর মতো তারকারা। তাই সবার ফোকাসেই রাশিয়া বিশ্বকাপ।