নিদাহাস ট্রফির পর বিশ্রাম পাননি বেশির ভাগ ক্রিকেটাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে জাতীয় দলের বেশিরভাগ সদস্য যোগ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। অন্যদিকে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে শ্রীলঙ্কা থেকে সরাসরি পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। গেলো ২০ মার্চ লাহোরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে পেশোয়ার জালমির হয়ে মাঠে নামেন। ম্যাচে হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ছিটকে পড়েন টাইগার ওপেনার।এবারের আসরে পেশোয়ারের হয়েই নামার কথা ছিলো বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তবে হাতের ইনজুরিতে পড়ায় নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। তার পরিবর্তে কপাল খুলে যায় ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা সাব্বির রহমানের। সাকিবের বদলে পিএসএলের প্রাথমিক রাউন্ডে খেলতে হলুদ জার্সির শিবিরে যোগ দেন এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান।

তবে মাত্র দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান ২৬ বয়সী এই তারকা। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ১১ রান করেন। পরের ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে ব্যাট করার আগেই জয় পেয়ে যায় দল।পিএসএলের প্রথম রাউন্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে হলেও এলিমেনেটর পর্ব থেকে ফাইনাল লাহোরে হবে তা আগে থেকেই জানানো ছিলো। নিদাহাস ট্রফি থেকে সাব্বির পাকিস্তানে না গিয়ে চলে আসেন দেশে। ফিরেই যোগ দেন সিরাজগঞ্জের একটি স্থানীর টুর্নামেন্টে। যেহেতু তামিম ইনজুরিতে তাই ফের ডান-হাতি সাব্বিরকে ডেকে পাঠিয়েছে দল।২৫ মার্চ রোববার ফাইনালে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে পেশোয়ার। মিসবাহ-উল-হকের ইসলামাবাদকে হারাতে পারলে টানা দ্বিতীয়বার পিএসএলের শিরোপা ঘরে তুলবে ড্যারেন স্যামি নেতৃত্বাধীন পেশোয়ার।লাহোর থেকে চিকিৎসা নিতে তামিম চলে গেছেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। রোববার দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ দিনের বিশ্রামে। এর পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষেই কেবল মাঠে ফিরতে পারবেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।এদিকে শনিবার রাতে ঢাকা ছেড়েছেন সাব্বির। শনিবার সামাজিক যোগাযোগের একাধিক মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন তার দেশ ছাড়ার কথা। ইনস্টাগ্রামে প্রথমে একটু ভুলই করে বসেন। লেখেন, ‘লাহোর যাচ্ছি পিএসএল ফাইনালে খেলতে।’ তবে মজার বিষয় হলো, পিএসএলের ফাইনাল হবে করাচিতে।পেশোয়ারের অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামিও মশকরা করেই ছাড়লেন। সাব্বিরের পোস্টের নিচে লেখেন, ‘তাহলে তুমি ফাইনাল মিস করতে যাচ্ছো।’ সাব্বির তার ভুল বুঝতে পেরে সংশোধন করে দেন আর স্যামিও তার মন্তব্য মুছে দেন।