প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে হলেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার পর মিয়ানমার সরকার কি করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।
সোমবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই মমিননগরে অবস্থিত ফিরদাউস নাসির চেরিট্যাবল হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হেলথ কমপ্লেক্সটি আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা সেবা শুরু করে ২০১১ সাল থেকে। সোমবার পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা গওহর রিজভী হেলথ কমপ্লেক্সটির ১০ শয্যার ইনডোর উদ্বোধন করেন।
গওহর রিজভী আরো বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আছে। তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে, তার মানে এই নয় তারা ফিরে যাবে না। তবে তারা যতদিন বাংলদেশে আছে ততদিন তাদের নিরপত্তার জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে হবে।
বিপুল সংখ্যক লোকের দীর্ঘদিনের ব্যয়ভার সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ১ কোটি লোক ভারতে অভিবাসী হয়েছিল। ভারত সরকার যদি ১ কোটি লোকের থাকা খাওয়ার ব্যয়ভার বহন করতে পারে তবে বাংলাদেশও ১০ লাখ লোকের জন্য পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১শ ৬০ মিলিয়ন লোকের আহার যদি আমরা যোগাড় করতে পারি তবে ১০ লাখ লোক বেশি হবে না।
জার্মানী গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে বাংলাদেশকে বিশ্বের পাঁচ স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় যুক্ত করা সম্পর্কে জানতে চাইলে গওহর রিজভী বলেন, তারা কিসের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট করেছে তা জানা নেই। তবে যে দেশে পার্লামেন্ট আছে, স্বাধীনভাবে সবাই মত প্রকাশ করতে পারছে সেখানে স্বৈরতন্ত্র কিভাবে থাকতে পারে আমার জানা নেই। ওই সংস্থাটি বাংলাদেশে আসেনি, আমাদের সঙ্গে কোনো কথাও বলেনি। মনগড়া এক রিপোর্ট দিয়েছে।
হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শকালে উপদেষ্টা গওহর রিজভীর ছোট ভাই আলী জওহর রিজভী, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাত, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক, গোড়াই ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আদিল খান উপস্থিত ছিলেন।