প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রোববার চাঁদপুর যাচ্ছেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সেখানে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সফরসূচি পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বেলা ১১টায় হাইমচরে বাংলাদেশ স্কাউটসের ৬ষ্ঠ জাতীয় কমডেকার উদ্বোধন করবেন। এর পর বেলা ৩টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এরইমধ্যে চাঁদপুর ও হাইমচরে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। রাস্তা ঘাট সংস্কার করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন স্থান, প্রধান প্রধান সড়কের দু’পাশ ও মোড়ে মোড়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। শহরের বাবুরহাট থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বড় বড় বিলবোর্ড আর তোরণ শোভা পাচ্ছে। এসব বিলবোর্ডে রয়েছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা চাঁদপুর ঘুরে এসেছেন। স্থানীয় এমপিরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুর সফরকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে সাধারণ জনগণ। শেখ হাসিনার কাছ চাঁদপুরবাসীর উল্লেখ্যযোগ্য কিছু দাবি হলো: চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, হাইটেক পার্ক, ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, মেঘনা নদীতে ‘চাঁদপুর-শরীয়তপুর সেতু, ও চাঁদপুরকে পর্যটন নগরী ঘোষণা করা।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। আমাদের চাওয়ার আগেই তিনি অনেক দাবি পূরণ করেছেন। চাঁদপুরের প্রতি নেত্রীর সব সময়ই সুদৃষ্টি রয়েছে।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চাঁদপুর সফর সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল চাঁদপুর সফর করেন। ওই সময়ে চাঁদপুরের গুনরাজদী বালুর মাঠে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর চাঁদপুর সফরকালে নতুনবাজার-পুরানবাজার সেতু ও চাঁদপুর পৌর অডিটরিয়ামের ভিত্তিফলক স্থাপন এবং জেলা কালেক্টরেট ভবন ও আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করেন।