দুটি মন আর আত্নার গভীর টান থেকে গড়ে ওঠে একটি ভালোবাসার সম্পর্ক। এ যেন অদ্ভুত ভালোলাগার এক অনুভূতি। কিন্তু একটা সময় পার হলেই যেন কোথায় একটু সম্পর্কে ভাটা পড়া শুরু হয়। ভুল বোঝাবুঝি, সন্দেহ, অবিশ্বাস, দুরত্ব- এগুলো বাড়তে থাকে। আর একটা পর্যায়ে গিয়ে হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর আজকাল এর হার যেন বেড়েই চলছে। কী কারণে এত বিচ্ছেদ দেখে নিই একবার-
ব্যস্ততা
প্রতিটা মানুষের জীবনে কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটতে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর তার ফলে জীবনে এসে ভর করে সীমাহীন ব্যস্ততা। তাতে করে সম্পর্কের প্রতি উদাসীনতা চলে আসে। ভালোবাসার মানুষকে আর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে ওঠে না।
আশেপাশে সঙ্গ বৃদ্ধি পাওয়া
চলতে ফিরতে আশেপাশের অনেক মানুষের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। এতে করে তাদের প্রাধান্য বা সময় দেওয়ার ফলে বিশেষ ভালোবাসার মানুষকে উপেক্ষা করা হয়। অথচ আপনি বুঝতেও পারেন না যে সেই বিশেষ মানুষটিই আপনাকে যারা আপনাকে বোঝে এবং সবসময় পাশে থাকে।
অন্য সম্পর্ক
বাইরে কাজ করার কারণে অনেক আকর্ষণীয় মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে নিজ সঙ্গীকে ভুলে অন্য সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে যায় মানুষ।
তথ্যপ্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনলেও এর নেতিবাচক প্রভাব আছে অনেক। এর প্রতি আসক্তির ফলে অন্যদিকে মন দেওয়ার আর সময়ই হয়না। যে সময়টুকু সঙ্গীকে দিতো, এখন সে সময় যায় প্রযুক্তির পিছনে। ফলে ধীরে ধীরে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ে।
তুলনা করা
অনেকেরই সঙ্গীকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার বদঅভ্যাস আছে। এই তুলনা করার ফলে সঙ্গীর মনে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা জন্মাতে থাকে, সে হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে। এর পরিণতি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
মনের ভালোবাসার চেয়ে বাহ্যিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য
অনেকে বাইরের সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলে। এতে করে যাচাই-বাছাই না করে নিজের মনের অনুপযুক্ত কাউকে সৌন্দর্যে্যর বিচারে বেছে নেন। এতে করে সম্পর্ক কখনো স্থায়ী হয়না।
সামাজিকতা রক্ষার্থে সম্পর্ক
আশেপাশে অন্যদের সম্পর্ক দেখে নিজের মধ্যে সম্পর্কের স্পৃহা জাগে অনেকেরই। এতে করে সময় না নিয়েই তাড়াহুড়া করে বা অন্যদের চাপে পড়ে যে সম্পর্কগুলো গড়ে ওঠে, সে সম্পর্ক টেকার সম্ভাবনা কম থাকে।