গৌরীপুর-হোমনা সেতু ও কুমিল্লার শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস এবং পদুয়া বাজার রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

কুমিল্লাবাসী, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরসহ তিন প্রকল্প বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশটা আমাদের সবার, সবাই মিলে দেশকে গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকা চট্টগ্রাম চার লেইন প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার পদুয়া বাজারে ৩৪৪ দশমিক ১৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ওভারপাসটি ৩০ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২৬টি স্প্যান ও ২৪টি পিয়ারের ওভারপাসের কাজ ২০১৬ সালের মার্চ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৯৪ কোটি ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা শহরের শাসনগাছায় ৬৩১ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওভারপাসটি নির্মাণ করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-হোমনা মহাসড়কে গৌরীপুর-হোমনা সেতুটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে। ১১২ দশমিক ৬১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মাণে ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

গৌরীপুর-হোমনা সড়কটি কুমিল্লা-সিলেট হাইওয়ে পর্যন্ত সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় চারটি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের স্থলে চারটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ এবং দেড় কিলোমিটার হোমনা বিকল্প সড়ক নির্মাণসহ মোট ২৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-হোমনা মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

নির্মিত চারটি সেতুর মধ্যে গৌরীপুর-হোমনা সেতুটি উল্লেখযোগ্য। গৌরীপুর থেকে হোমনা ও মুরাদনগর হয়ে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি বেইলি ব্রিজমুক্ত হয়েছে। এতে যাত্রাপথ সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে।

বিকল্প সড়ক নির্মাণ এবং জেলা মহাসড়কটি প্রশস্ত করার ফলে গৌরীপুর-হোমনা ও কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-হোমনা দুটি মহাসড়কের মধ্যে যাতায়াত সহজতর ও যানজটমুক্ত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো নজরুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার বক্তব্য রাখেন।

মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।