প্লেগ, কলেরা, বসন্তের মতো রোগে গুলো মানব সম্প্রদায়কে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। ঠিক তেমনি জিকা ভাইরাস যেন তার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই নতুন এক আতঙ্কের নাম হিসেবে পদার্পণ করেছে পৃথিবীর বুকে। আসুন জেনে নেওয়া জাক জিকা ভাইরাস সম্পর্কে।
জিকা ভাইরাস কী?
জিকা ইনফেকশন রোগটি আমাদের অতি পরিচিত ডেঙ্গু রোগের মতো। এটি ছড়ায়ও এডিস মশার মাধ্যমেই। আজকাল এ রোগের কথা সংবাদমাধ্যমে, টিভি মিডিয়ায় প্রচুর পরিমাণে শোনা গেলেও এমন কিন্তু না যে এ রোগের উৎপত্তি হয়েছে অল্প কয়েকদিন হলো। ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা ফরেস্টে এ রোগ সর্বপ্রথম রেসাস বানরের মধ্যে থেকে মশাদের শরীরে ছড়ায়।
সর্বপ্রথম এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৪৮ সালে নাইজেরিয়ায়। আফ্রিকায় এ রোগ কিছু কিছু সময় দেখতে পাওয়া গেলেও পশ্চিমা বিশ্বে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় গত মে মাস থেকে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কোনো সুদূরপ্রসারী ক্ষতির চিহ্ন নিয়ে আসেনি। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এ রোগ মহামারীর থেকেও বেশি ভয়ানক। কেন? সেই কথায় আসছি কিছুক্ষণ পরেই।
জিকা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
জিকা ভাইরাস ছড়ায় মূলত মশার মাধ্যমে। তবে সব ধরনের মশা নয়, শুধু এডিস গণের (genus) মশাই এ রোগের জন্য দায়ী। এ মশা যেমন একটি বড়সড় পুলের মধ্যে বিস্তার লাভ করতে পারে, ঠিক তেমনি একটি বোতলের মুখের মধ্যে রাখা পানিতেও বংশবিস্তার করতে পারে।
এডিস মশা সাধারণত দিনে কামড়ায়। এদের গোত্রের সবচেয়ে ভয়াবহ সদস্য হলো এডিস এজিপ্টি যারা জিকা রোগের প্রধান বাহক। এদের বিচরণ আমেরিকায় শুধুমাত্র ফ্লোরিডা, গালফ কোস্ট আর হাওয়াই-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে খুব গরমের সময় এদের ওয়াশিংটনেও দেখা যায়। এশিয়ার টাইগার মশা এডিস এল্বোপিকটাসও এ রোগ ছড়ায়, কিন্তু পরিসরে এজিপ্টির থেকে কম।
এসব মশা যখন কোনো আক্রান্ত মানুষকে কামড়ায়, তখন রোগীর কাছ থেকে মশা জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। পরবর্তীতে সংক্রমিত মশা সুস্থ মানুষকে কামড়ালে সে আবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যায়। জিকা ভাইরাস এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সবার মনে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। চলুন এ প্রশ্নের জটগুলো খোলার চেষ্টা করে দেখি।
১. জিকা ভাইরাস কি মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে ছড়ায়?
এখন পর্যন্ত এক কথায় উত্তর হলো, হ্যাঁ! সন্তান প্রসবের পূর্ব মুহূর্তে মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে এ রোগ প্রবেশ করতে পারে। মাইক্রোফেলি নামক ভয়ংকর ধরনের এক জন্মগত ত্রুটি নিয়ে অনেক শিশু জন্ম নেয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে সম্প্রতি। এ রোগাক্রান্ত শিশুদের মাথা অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় ছোট আর এ সমস্ত শিশুদের মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
মাইক্রোফেলি রোগে যেসব শিশুরা আক্রান্ত হয় এদের মধ্যে সৌভাগ্যবান ১৫% থাকে যাদের শুধু মাথাটাই ছোট হয়, কিন্তু অভাগা বাকি ৮৫% শিশুর মস্তিষ্কের উপর মাইক্রোফেলি ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে এদের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না এবং এরা বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী হয়। জিকা ভাইরাস আর অদ্ভুত এ সমস্যার একদম ঠিকঠিক যোগসূত্রটা যে কোথায় তা এখনো আবিষ্কৃত না হলেও বিশেষজ্ঞগণ গর্ভবতী মায়েদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
ব্রাজিলে এ রোগে আক্রান্ত প্রায় ৪,০০০ শিশুর রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং এর মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছে। এমনকি ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, এল সালভাদরে আপাতত সন্তান ধারণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
২. রক্ত বা শুক্রাণু কি জিকা ভাইরাস বহন করে?
সম্প্রতি মানুষের রক্ত আর শুক্রাণুতেও এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। রক্ত নেয়া বা শারীরিক সম্পর্কের ফলে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীর রিপোর্ট পাওয়া গেলেও সংখ্যায় তা অতি নগণ্য। আবার ভেবে দেখুন, যদি রক্তের মাধ্যমে রোগ আসলেই ছড়াত তাহলে রোগীকে কামড়ালে যেকোনো ধরনের মশাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতো। এমনটি কিন্তু হচ্ছে না। তাই আপাতত সঠিকভাবে এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও সাবধানতা অবলম্বন করতে তো মানা নেই।
৩. জিকা ভাইরাস কি জিবিএস এর জন্ম দেয়?
জিবিএস (Guillain–Barré Syndrome) নামের এক বিশেষ ধরনের রোগ আছে যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শরীরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়। তখন এরা রোগজীবাণু ধ্বংস করা বাদ দিয়ে স্নায়ুকোষগুলোকে ধ্বংস করা শুরু করে। এর ফলে মাংসপেশির দুর্বলতা, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্যারালাইসিসও দেখা যায়। সাধারণত এর প্রভাব কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত থাকে। তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মানুষ এর প্রভাব সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়ায়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
আসলে জিকা কিংবা অন্য কোনো ভাইরাস এ রোগের উৎপত্তি ঘটায় কিনা তা এখনো বলা সম্ভব হয়নি। তবে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাজিলে জিবিএসও তীব্র আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গবেষকরা মাথা চুলকাতে বসে গেছেন- আসলেই কি জিকা ভাইরাস টেনে আনছে জিবিএস এর মতো মারাত্মক রোগকেও?
জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষ্মণ
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচ জনের একজন মানুষের মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়। কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে আছে জ্বর, শরীরে র্যাশের সৃষ্টি, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথার অনুভূতি, চোখ ওঠা ইত্যাদি। এছাড়াও এ সময় মাথা ব্যথা আর মাংসপেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সাথে সাথেই কিন্তু এসব উপসর্গ দেখা যায় না, বেশ কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর রোগীর মধ্যে এ লক্ষণগুলো দেখা যেতে থাকে।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অসুস্থতা বড়জোর কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। হাসপাতালে যাবার মতো অবস্থাও কিন্তু তৈরি হয় না। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিমাণ খুবই নগণ্য। আপনার অসুস্থতা কমে গেলেও রক্তের মধ্যে এ ভাইরাস কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত তার উপস্থিতি জানান দিতে পারে। র্যাশ ওঠার কারণে অনেকেই এ অসুখটিকে ডেঙ্গু বা হামের সাথে গুলিয়ে ফেলতে পারে। তাই সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় অত্যন্ত জরুরী।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার
জিকা ভাইরাস আপাতদৃষ্টিতে খুব ভয়ংকর না হলেও এর ক্ষতিকর দিক কিন্তু অনেক। এখন পর্যন্ত এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। কিন্তু তাই বলে আমরা তো আর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। যেহেতু এডিস মশা যেকোনো জায়গায় জমে থাকা পানিতে জন্ম নেয়, তাই আশেপাশের কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এরা দিনের বেলাতেই আপনাকে আক্রমণ করবে। তাই দিনের বেলা ঘুমালেও মশারী টানাতে ভুলবেন না।
খেয়াল রাখবেন যে, কোনো মশা যেন আপনাকে না কামড়ায়। জানালার চারিদিকে আলাদা করে এমন জালিকা স্থাপন করতে পারেন যাতে মশা ঘরে না ঢুকতে পারে। যেকোনো রোগে আক্রান্ত হবার আগেই সবথেকে ভালো উপায় হলো নিজেকে সতর্ক রাখা। এলাকার মানুষজন মিলে কিছুদিন পরপর বিভিন্ন কীটনাশক দূরীকরণের স্প্রে প্রয়োগ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে ঝুঁকি আছে এমন এলাকায় যদি আপনি ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক আমাদের হাতের নাগালে আসতে আসতে পার হয়ে যাবে আরো প্রায় দেড় বছর। প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান এ দৌড়ে সামিল হয়ে থাকলেও তাদের কাজ একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে। জেনেভার এক সম্মেলনে এ সংস্থার মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রে খুব শীঘ্রই এর পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হলেও তা পুরোপুরি স্বীকৃত হয়ে মানুষের নাগালে পৌঁছাতে অপেক্ষা করতে হবে আরো অনেকটা সময়।
বাংলাদেশ এবং জিকা ভাইরাসঃ আমরা কি হুমকির মুখে?
জিকা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। বাংলাদেশে কি এই রোগে আক্রান্ত হবার কোনো সম্ভাবনা আছে? চিন্তার বিষয়। প্রতিষেধকবিহীন এ রোগ খুব দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমরা যে একেবারে হুমকির সম্মুখে না, তা বলা যায় না।
তবে আশার কথা এই যে, দক্ষিণ এশিয়াতে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই আশা করা যায় আমাদের সেই খারাপ দিন দেখার সম্ভাবনা খুব কম, যেখানে ফুটফুটে একটি শিশুকে অপরিণত মস্তিষ্ক আর ছোট্ট একটি মাথা নিয়ে চলাচল করতে দেখতে হবে।
জিকা ভাইরাসের গোপন নথি!
এতক্ষণ যা বললাম তা নিত্যদিনের খবর হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার আমার জানার বাইরেও কিছু খবর আছে, যা হয়তো ইচ্ছে করেই রাখা হচ্ছে সবার অগোচরে। বিল গেটস-মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের নাম নিশ্চয় সবাই শুনেছেন। এ ফাউন্ডেশনের ব্রিটিশ বায়োটেক কোম্পানি ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ ধরনের জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এক ধরনের মশার উদ্ভাবন করে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিশেষ ধরনের মশাই আসলে জিকা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। যে ভাইরাস মানুষের জীবনে আতংক বয়ে নিয়ে এসেছে, যে রোগ নিয়ে নিত্যদিন মিডিয়া এত বিপুল পরিমাণে মেতে উঠেছে তা প্রাকৃতিক কোনো রোগ নয়! ২০১১ সাল থেকে অক্সিটেক নামের এ কোম্পানি ব্রাজিলের গহীন অরণ্যে এ মশার বংশবিস্তার করে চলেছে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য। এক সপ্তাহে তারা প্রায় দুই মিলিয়ন মশা উৎপাদন করে ব্রাজিলের ক্যম্পিনাসে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে।
আরেকটি রহস্যময় তথ্য জেনে নিন। ২০১৫ সাল থেকে ব্রাজিল সরকার গর্ভবতী মায়েদের একটি নতুন ভ্যাক্সিন নেয়া অত্যাবশ্যক করেন। টিডিএপি নামক এ ভ্যাক্সিনের সঠিকভাবে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই হঠাৎ এভাবে আবশ্যকীয় করে দেয়া আর ঠিক একই সময়ে এরকম অদ্ভুত শিশু জন্মের হার হুহু করে বেড়ে যাওয়াটা আসলে কাকতালীয় ঘটনা থেকে একটু বেশি কিছুই বলে মনে হয়।
এ ভ্যাক্সিনের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে একটু খোঁজ নিতে শুরু করলেই একটি নাম আবার সামনে পেয়ে যাবেন- বিল গেটস-মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এমনকি এ ভ্যাক্সিন লাইসেন্সড হবার আগে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের শরীরে গিয়ে আসলেই কাজ করে কিনা সেই ব্যাপারে পরীক্ষা করার কোনো নথিপত্রও পাওয়া যায়নি।
একটু যদি অন্যভাবে ব্যাপারটা নিয়ে ভেবে দেখি তাহলে কি এটাই মনে হয় না, জন্মগত এ ত্রুটি আর জিকা ভাইরাসকে একই সময়ে সামনে আনা হয়েছে? ব্রাজিলই বা কেন আমেরিকা থেকে এমন একটি ভ্যাক্সিন কিনে তার দেশে অত্যাবশ্যক করে দিলো যার কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষার ইতিহাস নেই? নাকি এজন্য তারা উপযুক্ত পরিমাণে পকেট গরম করার সুযোগ পেয়েছে?
এখন আবার আমেরিকা জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধকের পেছনে ছুটছে। চেষ্টা করে দেখুন তো এমনই কোনো ঘটনার কথা স্মৃতিতে আসে কি না? হ্যাঁ, একইভাবে মিডিয়া ইবোলা ভাইরাস নিয়েও মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করেছিল।
যেমনটি আগেই বলেছি অনেক দেশে গর্ভধারণ এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে আসলেই বিল গেটস এর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে। সম্প্রতি মাত্র একজন মানুষের শুক্রাণুতে এ ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়ার সাথে সাথেই একে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ানো রোগের কাতারে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে মানব মনে শারীরিক সম্পর্ক এবং সন্তান ধারণের প্রতি আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৩ সাল থেকেই বিল গেটস জোরপূর্বক ভ্যক্সিনাইজেশন করে জন্মনিয়ন্ত্রণের সপক্ষে কথা বলেছেন।
তবে এ রহস্যের কূলকিনারা এতো সহজে সম্ভব নয়। বিশ্বের বড় বড় ব্যক্তিত্বের বিপক্ষে বা সপক্ষে কথা বলার মানুষের অভাব কখনোই ছিল না। তাই আমরা শুধু আপনাদের চলতি বিশ্বের পরিস্থিতির কাছাকাছিই নিয়ে যেতে পারি। সত্য-মিথ্যা জানার জন্য আমাদের হয়ত অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কিছু সময়।
কিন্তু উন্নত বিশ্বের অনেক ঘটনার সুরাহা যে আমাদের কান পর্যন্ত আসে না, এ নতুন কিছু নয়। তাই আপাতত এসব কোন্দলে না পড়ে আমরা নিজেদের ও নিজ নিজ সন্তানদের নিরাপত্তা প্রদানের দিকেই বেশি মনোযোগী হওয়া উচিৎ। আশা করি বিশ্বে বিরাজমান এ জিকা ভাইরাস আতঙ্ক আমাদের দ্বারপ্রান্তে এসে কখনোই হানা দেবে না।