আশরাফুল আলম ,ভৈরব- কুলিয়ারচর প্রতিনিধি|| কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষায়িত জিল্লুর রহমান ট্রমা হাসপাতাল সেন্টার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ১৯৬৬ সালের ভৈরব শহরের কমলপুর গ্রামের ৫ একর ৬৬ শতাংশ জমিতে ট্রমা হাসপাতালের জন্য একর করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ এপ্রিল বৃস্হপতিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত থেকে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্বাস্হ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মোঃ নাসিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ভৈরব-কুলিয়াচরের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন।
অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল।
ভৈরব পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্যানেল চেয়ারম্যান মীর্জা সোলাইমান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী সিরাজ উদ্দীন, জেলা সিভিল সার্জন ড.হাবিবুর রহমান।
এছাড়া আরোও উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম বাকি বিল্লাহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ।
অনুষ্ঠানে উপজেলাসহ পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীগণ উপস্হিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওর্য়াড থেকে নেতাকর্মীবৃন্দ মিছিল সহকারে অনুষ্ঠান উপস্হিত হন।
স্বাস্হ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মোঃ নাসিম তার বক্তব্যে বলেন
এমপিরা ভুল করতে পারে কিন্তু জনগন ভুল করলে চলবে না।
এমপিরা ভুল করতে পারে কিন্তু ছোটখাট ভুলের জন্য জনগণ ভুল করতে পারেনা। এমপি, মন্ত্রী ও ছাত্রলীগের কর্মীরা যেসব ভুল করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে সমস্যা একটাই খালেদা জিয়া। তবু আমরা চাই খালেদা জিয়া বেরিয়ে এসে আমাদের সাথে নির্বাচন করুক। খালি মাঠে আমরা গোল দিতে চাইনা।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে শেখ হাসিনাই গোল দিবে এবং হেট্রিক করবে উল্লেখ করে বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবেনা, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। আর রেফারি থাকবে নির্বাচন কমিশনার।
ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: সায়দুল্লাহ মিয়া ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নতি, জিল্লুর রহমানের নামে ট্রমা হাসপাতালের নাম করনের দাবি ও ওই হাসপাতালের বেশিরভাগ ডাক্তার ডেউটিতে এসে শুধু স্বাক্ষর দিয়ে চলে যায় এমন অভিযোগের উত্তরে ন্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীদের সাথে অবহেলা সহ্য করা হবেনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ডাক্তারদের হুশিয়ারি করেন। তিনি বলেন, কর্মস্থলে থাকেন নয়ত সরকারি চাকুরি ছেড়ে দেন। আগামী দুইমাসের মধ্যে গ্রামের রোগীদের চিকিৎস সেবা দিতে আরো ৫ হাজার সার্জন ও ডাক্তার নিয়োগ দেয়া এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের নামেই ট্রমা সেন্টারের নামকরণ হবে বলে জানান।