ছাত্রলীগ রগ কাটা পার্টিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একবার বহিষ্কার আবার ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া- হাস্যকর নয় কি? এটা চিন্তারও বিষয়। পরবর্তীতে এর কি প্রভাব পড়ে তা দেখা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যারা আন্দোলনে গিয়েছিল, নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিল- তা প্রমাণিত হয়েছে কোটা পদ্ধতি তুলে নেয়ার মাধ্যমে। সে কারণে আন্দোলনে কোন মামলা থাকতে পারে না। যাদের নামে মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সব মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অনেক আগেই দাবি জানানো হয়েছিল প্রতিবন্ধী, নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়া আর কাউকে কোটার সুযোগ দেয়া ঠিক নয়। তাই বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানায়। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা সংস্কার করা হোক। ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু কোটা সংস্কার না করে প্রধানমন্ত্রী পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দিলেন।
জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আগের সব জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে মাঠে সেনাবাহিনী থাকলে ভোটাররা নির্বিধায় ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সাহস পান। পারেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসি ও সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। এ নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে করতে পারে, সেটি দেখবে জনগণ। তারা যদি দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন না করতে পারে, তাহলে প্রমাণিত হবে তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সময় গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ সব স্থানীয় নির্বাচনেও সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী মনির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।