সিরিয়ার এয়ারবেস আশ শাইরাতে মিসাইল হামলা হয়েছিল৷ একই সঙ্গে দামেস্কের কাছে আদ দুমাইর বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। তবে এবার নিক্ষিপ্ত সব ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা গেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স৷
জানা যায়, আশ শাইরাত এয়ারবেসে ৯টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল৷ ৩টি মিসাইল টার্গেট করা হয়েছিল আদ দুমাইর বিমানঘাঁটিতে৷ এটি উত্তর পূর্ব দামেস্কে অবস্থিত৷ সিরিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের তরফ থেকে এই খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে৷
এই হামলা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী আদ দুমাইর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তিনটি এবং হোমস প্রদেশের আশ শাইরাত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় যার সবই ধ্বংস করে দেয় দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এর আগে ১৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একসঙ্গে সিরিয়ায় ১০০ টি ক্রুজ ফেলেছিল৷ হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ট্রাম্প জানান, কিছুদিন আগেই আমি মার্কিন সেনাকে হামলার কথা বলি৷ সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাসার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্কিন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে বিমান হামলা একাধিক জায়গায় করা হয়েছে৷ হামলার জন্য টোমাহক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে৷ আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, এটা মানুষের কাজ নয়৷ দানবের কাজ৷ আমাদের কাজ রাসায়নিক অস্ত্রে বিরুদ্ধে একটি কঠিন প্রতিবন্ধক৷
এর পাশাপাশি রাশিয়া ও ইরানকেও সতর্ক করছে আমেরিকা৷ আসাদ সরকারের পিছনে এই দুটি শক্তিরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও রাশিয়া, আমি জিজ্ঞাসা করছি কোন দেশ নির্দোষ পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের গণহত্যা করতে সাহায্য করে?
ব্রিটিশ মুখ্যমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র যাতে না ব্যবহার করা হয়, তাই এই অপারেশনে অংশ নিয়েছেন তারা৷ ফ্রান্সর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো বলেছেন, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্স অপারেশনে যোগ দিয়েছে তার কারণ সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারিক প্রয়োগ করেছে৷