কক্সবাজারের চকরিয়ায় আল আমিন (৩৫) নামের এক বন প্রহরীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়ে শটগান ও গুলি লুট করে নিয়েছে বনদস্যূরা। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি জুমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ৬/৭ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি শটগানসহ ব্যবহারের দুইটি মোবাইল সেট লুট করে। পরে গুরুতর আহত ওই বনপ্রহরীকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের বনপ্রহরী আল আমিন অস্ত্র নিয়ে ফুলছড়ি বনবিটের জুমনগর এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শুক্রবার রাতের বেলায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় ওই এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ মুজিবুর রহমান, নুরুল হুদা, এহেছান, বার্মাইয়া আমিন, নরুল আমিন, বেদার, ইসমাঈল সহ ১৫/২০ জনের বনদস্যূ দল তার উপর হামলে পড়ে।১৫/২০ জনের বনদস্যূ দল তার উপর হামলে পড়ে।
তারা হাতুড়ি, লোহার রড় ও লাঠিসোঠা দিয়ে বনপ্রহরী আল আমিনকে মেরে শারা শরীর থেঁতলে দেয়। এলো পাতাড়ি মারধরে বনপ্রহরী আল আমিনের ডান হাতের কবজি ভেঙে যায়। মাথায় প্রচন্ড জখম হয়। এই ঘটনায় আবদুল আজিজ (৩২) নামের আরো একজন বনপ্রহরী আহত হন। এ সময় তাদের হাতে থাকা ৭ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি শটগানসহ ব্যবহারের দুইটি মোবাইল সেট বনদস্যূরা লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া জানান, খবর পেয়ে মূমুর্ষ অবস্থায় বনপ্রহরী আল আমিনকে উদ্ধার করা হয়। লুট করা শটগান পরে জঙ্গলে রেখে গেলেও কার্তুজ ও মোবাইল ফেরত দেয়নি।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ জানান, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এভাবে হামলার শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।