নড়াইল প্রতিনিধি,স্বদেশ নিউজ২৪.কম: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে খায়ের মৃধা(৩৭) নামে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার(২১ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে পারমল্লিকপুর ভ্যান স্টান্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুলাল ঠাকুর গ্রুপ এর লোকজনের সাথে জলিল শেখ ও লিটু শেখের গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় দু-তিনজন আহত হন। এরমধ্যে আহত খায়ের মৃধাকে লোহাগড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেবার পথে প্রতিপক্ষরা খায়ের মৃধাকে পথিমধ্যে ভ্যান থেকে নামিয়ে আবার কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ।
ধারালো অস্ত্রের কোপে খায়ের মৃধার ডান হাত ও দুটি পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় নেবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত ফরিদপুর সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালেই তার মৃত্য হয়েছে বলে নিহতের আত্মীয়রা জানায়।
খায়ের মৃধার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুপক্ষ আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় গুলিতে সজিব শেখ(২২), অনিল ঠাকুর(২৮), সবুজ মিনা(২৩), নিওন সরদার(২২), রিয়াজুল ঠাকুর(২০), শিশু পিংকি(১০) গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছে মনিরুল(৪১), রইচ(২৫), আকরাম সরদার(৪৮), রকিবুল শেখ(৩২), গোলাম কিবরিয়া(৫০)। আহতরা লোহাগড়া, নড়াইল, খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত খায়ের মৃধা ওই গ্রামের মৃত মকিম মৃধার ছেলে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ২১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। গুলি না ছুড়লে ব্যাপক লুটপাট ও সংঘর্ষ হয়ে যায়। পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।