নিষ্পাপ মুখের এলি বিখ্যাত ওয়ার্নের মতোই ফ্লিপার, গুগলি, লেগ ব্রেক করতে সক্ষম এক ‘বিস্ময়’ বালক। এই এলি মিকাল খানের বোলিং ডেলিভারি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। শেন ওয়ার্ন পর্যন্ত তার বোলিং এর প্রশংসা করেন।এলি মিকালের বাবা এখন অর্থাভাবে তার ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর খরচ সামলাতে পারছেন না। অবস্থা এমনই করুণ যে তার বাবাকে নিজেদের ভিটেমাটিও বিক্রি করতে হচ্ছে ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নে।
ম্যাজিশিয়ান শেন ওয়ার্ন স্বয়ং ছয় বছরের প্রতিভার ভূয়ষী প্রশংসাও করেছেন। সেই সঙ্গে ডেলিভারির সময়ে বোলিং আর্ম একটু উঁচুতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। স্বয়ং ওয়ার্ন পরামর্শ দিচ্ছেন উঠতি প্রতিভাকে।
ইন্টারনেটেই প্রথম মিকাল খানকে দেখেন শেন ওয়ার্ন। শুধু ওয়ার্নই নয় ‘সুলতান অফ সুইং’ বলে খ্যাত ওয়াসিম আকরামও প্রশংসা করেছেন মিকালের।
কিন্তু দুঃখের বিষয় পাকিস্তানের সেই ‘বিস্ময়’ বালক স্পিনারের পড়াশুনা এবং খেলা চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রবল আর্থিক সমস্যায় পড়েছে তার পরিবার!
টুইটারে এলি মিকাল খানের লেগ স্পিন বোলিং দেখে শেন ওয়ার্ন মুগ্ধতা প্রকাশ করার পরে ক্রিকেট বিশ্বে শুরু হয়েছিল সাড়ে ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে কৌতুহল। মিকালের বিরুদ্ধে ব্যাট করা রমিজ রাজাও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন।পাকিস্তানের সেই ‘বিস্ময়’ বালক স্পিনারের পড়াশুনা এবং খেলা চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে। একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও গত তিন মাসে কেউ আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ায়নি এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের পাশে।
মিকালের বাবা আবদুল্লাহ খান হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোয়েতায় তার বাড়ি বিক্রি করে অন্য দেশে চলে যাবেন!
রবিবার কোয়েতা থেকে ফোনে তার বক্তব্য, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তাদের একাধিকবার অনুরোধ করেও মিকালের জন্য কোনও অনুদানের আশ্বাস পাইনি।
মিকালের প্র্যাক্টিস। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারের জন্য মাসে প্রায় অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। তাই বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছি। যাতে মিকালের প্র্যাক্টিস বন্ধ না হয়।
ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন আবদুল্লাহ। জানালেন, তাঁদের ইংল্যান্ডে পাকাপাকিভাবে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।