যুক্তরাষ্ট্রের কাটসা (কাউন্টারিং আমেরিকাস এডভার্সারিস থ্রু স্যাঙ্কসন এ্যাক্ট) আইন বাস্তবায়নের ফলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এই হুমকির পরও ভারত রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো এগিয়ে নেবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্রয় শাখার প্রধান অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি মস্কোতে ন্যাশনাল হেলিকপ্টার বিল্ডিং সেন্টার পরিদর্শন করে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কেএ-২২৬টি রোটোর্যাক্ট (হেলিকপ্টার)-এর উড্ডয়নও প্রত্যক্ষ করে। এই হেলিকপ্টার কেনার অর্ডার দিয়েছে ভারত। পরে প্রতিনিধি দলটি কালিনিনগ্রাদে ইয়ানতার শিপবিল্ডিং প্লান্ট এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে আলমাজ-আনতে এডি গ্রুপ ও এভিয়াস্টার-এসপি পরিদর্শন করে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা অমিত কাওশিশ স্পুটনিককে বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় (নিষেধাজ্ঞার মতো) সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে ভারতের আস্থা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার হুমকি সাময়িক হিক্কা উঠার মতো এবং ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর এর দীর্ঘ মেয়াদি কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের প্রতিকূল।
উলিয়ানভস্ক ভিত্তিক ইলিউশিন এভিয়েশন কমপ্লেক্স সফরকালে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দল আইএল-৭৬এমডি-৯০এ এবং আইএল-৭৮এমকে-৯০এ এয়ারক্রাফটের বিস্তারিত প্রেজেনেটশন প্রত্যক্ষ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনী আকাশে জ্বালালি ভর্তি করার উপযোগী এয়ারক্রাফট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করে। পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়া থেকে কেনা বিমানে জ্বালানি ভর্তি করার জন্য এসব এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হবে।
ইলিউশিন এভিয়েশন কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে অপূর্ব চন্দ্র বলেন, সেনাবাহিনীর অপারেশনাল ও ট্যাকটিক্যাল প্রয়োজনে ইলিউশিনের তৈরি বিমান চালানোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় পাইলটদের। আর সে কারণেই রাশিয়ার আধুনিক সামরিক পরিবহন বিমান ও ট্যাঙ্কারের পাশাপাশি এওয়াক্স এয়ারক্রাফট আমাদের সুবিবেচনায় রয়েছে।