দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জে ৫ জনসহ বিভিন্ন জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, বৈরি আবহাওয়ায় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে সবধরনের নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পটুয়াখালীতে অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটে ৬৫ ফুটের নীচে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।রোববার সকালে ঝড়ো বাতাস শুরু হয় সিরাজগঞ্জে। সাথে প্রবল বৃষ্টি। এসময় কাজিপুর উপজেলার তেকানি চরে, ছেলে আরফানকে নিয়ে কৃষি কাজ করছিলেন শামছুল হক। ঝড়ের সময় বজ্রপাতে তাদের দু’জনের শরীরই ঝলছে যায়। তাৎক্ষণিক-ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া বজ্রপাতে, জেলার কামারখন্দ ও শাহজাদপুর উপজেলায় ২ কিশোরসহ আরো তিনজন মারা যান।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এসময় আখাউড়া উপজেলার দরুইন গ্রামে, বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হন। এসময় আহত হন আরো ২ শ্রমিক। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে, সুনামগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর গ্রামে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষক মারা যান।
এদিকে, নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড়ে পাকা বোরো ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া সাপাহার উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক নারী মারা যান। আহত হন ৪ জন। রাঙ্গামাটিতে দুপুরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বজ্রপাতে মাগুরায় ২ জন ও নোয়াখালীতে ২ জন মারা যান।