ভারতের হয়েই খেলেই বিশ্ব ক্রিকেটের আইকন তিনি। বিশ্বের হৃদয় জয় করেছেন ভারতের জার্সিতে খেলেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর একবার পাকিস্তানের হয়েও খেলেছিলেন। হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনছেন। মঙ্গলবারেই লিটল মাস্টারের ৪৫তম জন্মদিন। সেই জন্মদিনেই ফাঁস হল অদ্ভূত তথ্য। নিজের আত্মজীবনী থেকে এক দারুণ অজানা তথ্য প্রকাশ করলেন মাস্টার ব্লাস্টার। নিজেই জানালেন, ১৩ বছর বয়সে একবার পাকিস্তানের জার্সিতে ফিল্ডিং করেছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটতে আরও বেশ কয়েক বছর। ১৯৮৭ সালে মুম্বইয়ের বিখ্যাত ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত বনাম পাকিস্তানের একটি প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে জানুয়ারির ২০ তারিখে এই ম্যাচটি ছিল ৪০ ওভারের।
সেই ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মার্কাস কুটো। তিনিই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ইমরান সেই সময় সিসিআই-এর অধিনায়ক হেমন্ত কেঁকরের কাছে ‘আবদার’ করেছিলেন, তিন-চারজন ক্রিকেটারকে যদি পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করতে পাঠানো যায়। কারণ হিসেবে ইমরান খান জানিয়েছিলেন, তাঁর দলের কিছু ক্রিকেটার লাঞ্চের বিরতিতে বিশ্রাম নিতে চান।
এর পরেই সচিন হেমন্তকে মরাঠিতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি খেলতে পারেন কি না! এরপরেই কোনও উত্তর পাওয়ার আগেই পাকিস্তানিদের সঙ্গে ফিল্ডিং শুরু করে দেন সচিন। জানা যায়, প্রায় আধঘণ্টার মতো পাকিস্তানের জার্সিতে ফিল্ডিং করেছিলেন তিনি। তবে সেই ম্যাচে সচিনের পাকিস্তান নয়, ভারতই জিতেছিল ছয় উইকেটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিনের অভিষেক পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই। সেটা সরকারিভাবে। তবে বেসরকারিভাবে কিন্তু সচিনের অভিষেক অনেকে ধরেন সেই প্রীতি ম্যাচ।
ভারত-পাক রাজনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে যথারীতি তলানিতেই। এর মধ্যেই ২৪ ঘণ্টা আগে ইন্দো-পাক সেলিব্রিটি দম্পতি শোয়েব-সানিয়া তাঁদের সন্তান সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। এবার প্রকাশ্যে এল সচিনের পাকিস্তানের হয়ে খেলার ঘটনা। খেলা আর সংস্কৃতির খোলা হাওয়া যদি তাপ কমায় ওয়াঘা আর ডেরা গাজি খানের।