নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে আবাহনী ঘরের মাঠে হেরেছিল ১-০ গোলে। গতকাল মালদ্বীপে প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাইয়া কোজিমার গোলে সমতায় ফেরে আবাহনী। এরপর মাত্র সাত মিনিটে তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিক ক্লাবটি। হ্যাটট্রিক করেন আলী ফাসির। বাকি গোল দুটি করেছেন আলী আশফাক।এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচের ৫-১ গোলের এ হারে বিদায় নিশ্চিত হয় ঢাকা আবাহনীর। আসরে আকাশী হলুদের এটি তৃতীয় হার। বাকি দুটির একটিতে জয়, একটিতে ড্র।
গতকাল ম্যাচের ১৯তম মিনিটে পেনাল্টি গোল করে এগিয়ে যায় নিউ রেডিয়েন্ট। আলী ফাসির ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান। আবাহনী সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ৪৬তম মিনিটে বক্সের ডান দিকে সাদ উদ্দিনের দারুণ একটি পাস পান কজিমা। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দলটির এশিয়ান কোটায় সুযোগ পাওয়া এই জাপানি ফুটবলার। গোল হজম করে নিউ রেডিয়েন্ট গতি বাড়িয়ে খেলতে থাকে। ৫১ মিনিটে তারা দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়। প্রথম গোলদাতা আলী ফাসির এবারও ব্যবধান বাড়ান। মোহাম্মদ উমাইরের থ্রু বল থেকে বক্সের বাইরে বল ধরেন তিনি। একটু সামনে এগিয়ে ডান পায়ের শটে ব্যবধান ২-১ করেন। পাঁচ মিনিট বাদে ফাসির হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এবারও সেই থ্রু থেকে বল ধরেন। থ্রুটি করেন আলী আশফাক। বক্সের মাঝখান থেকে ডানদিকের বার টার্গেট করে বল জালে জড়ান। দুই মিনিট বাদে আলী আশফাকও গোলের দেখা পান। বক্সের মাঝ থেকে বাঁদিকের বার ব্যবহার করে ডান পায়ের শটে ব্যবধান ৪-১ করেন। ম্যাচের শেষ দিকে পঞ্চম গোলটি হজম করে আবাহনী। এই সাত মিনিটেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে ছয় বারের লীগ চ্যাম্পিয়নরা। ৮৮তম মিনিটে আলী আশফাক তার দ্বিতীয় গোল করেন। মোহাম্মদ উমাইরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে ব্যবধান ৫-১ করেন তিনি। গ্রুপ ‘ই’ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে নিউ রেডিয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু। আবাহনী তিনে। সবার শেষে আইজল।