বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্যের বিষয়ে করার কিছুই নেই ফিলিপাইন সরকারের। ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিষয়টি আদালতের বাইরে সমাধান সমাধান করতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু এ বিষয়ে ফিলিপাইন সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ সচিব কার্লোস ডোমিঙ্গুয়েজ। তিনি শুক্রবার এমন মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের অনলাইন ইনকুইরার। উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকাররা চুরি করে তা স্থানান্তর করে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের একটি শাখায়।পরে তা হাতবদল হয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অর্থের এখনও সুনির্দিষ্ট হদিস নেই। এ নিয়ে ফিলিপাইন সরকার ও আরসিবিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এ বিষয়ে কার্লোস ডোমিঙ্গুয়েজ বলেন, ম্যানিলাভিত্তিক এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের ৫১তম বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে তার কথা হয়েছে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের। এ সময় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ঘটনাটি হলো বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বেসরকারি খাত আরসিবিসির মধ্যকার। এ বিষয়ে আমাদের (ফিলিপাইন সরকার) কিছু করার নেই। ফিলিপাইন সরকার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা ওই ব্যাংককে জরিমানা করেছি। কারণ তারা আমাদের নিয়মকানুন অনুসরণ করে নি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তিনি বলেছে, এরই মধ্যে অর্থ পাচার বিরোধী কাউন্সিল এ নিয়ে মামলা করেছে। যদি তারা (বাংলাদেশ) কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায় তাহলে তাতে আমরা জড়িত হবো না। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ হ্যাকাররা চুরি করে সুইফট কোড হ্যাক করে। এসব অর্থের বেশির ভাগই ম্যানিলার ক্যাসিনোতে লাপাত্তা হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আদালতের বাইরে বিষয়টি মিটমাটের সুযোগ আছে। উল্লেখ্য, চুরি যাওয়া অর্থ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারের জন্য মামলা করার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।