অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর গ্রহের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে দু’জনের বয়স হবে যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৭। ফর্ম বিবেচনায় মেসি ও রোনালদোর বিশ্বকাপ জেতার এটাই ‘শেষ সুযোগ’। কিন্তু বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণে রাশিয়ায় মেসি ও রোনালদো নকআউট পর্বে না মুখোমুখি হয়ে যান! এবারের গ্রুপ পর্বের সমীকরণ বলছে, নকআউট পর্বেই দু’জনের দেখা হয়ে যেতে পারে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর বাধা পার করতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা ও রোনালদোর পর্তুগাল। নিজেদের গ্রুপে দ্বিতীয় হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখবে ফুটবল বিশ্ব।আবার গ্রুপে এক দল চ্যাম্পিয়ন আর এক দল রানার্সআপ হলে ফাইনালের আগে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পর্তুগালের চেয়ে সহজ গ্রুপে পড়েছে গতবারের রানার্সআপ আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটাই হবে অপ্রত্যাশিত। ‘ডি’ গ্রুপের সূচিতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ যথাক্রমে আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। ‘বি’ গ্রুপে ২০১৬ ইউরো জয়ী রোনালদোর পর্তুগালকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে পেয়েছে পর্তুগিজরা। অপর দু’দল মরক্কো ও ইরান। আগামী ১৪ই জুন বিশ্বকাপের ২১তম আসরের পর্দা উঠবে। পরদিন পর্তুগাল-স্পেন হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপভোগ করবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে গ্রুপের ভাগ্য। ১৬ই জুন আইসল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামবে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। মেসি ও রোনালদোর চতুর্থ বিশ্বকাপ এটি। গত ১০ বছর ধরে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর দু’জনের দখলে (পাঁচবার করে)। বিশ্বকাপে ৩২ বছরের শিরোপা খরা ঘোচাতে আর্জেন্টিনার আশার প্রদীপ ম্যারাডোনার উত্তরসূরি মেসি। ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো) দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফির স্বাদ পাওয়া পর্তুগালের বিশ্বকাপে সেরা অর্জন তৃতীয় স্থান (১৯৬৬)। আর ২০০৬ সালে রোনালদোর প্রথম বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল। সেবার শেষ আট থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। ২০১০ আসরে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল ও কোয়ার্টারে থামে আর্জেন্টাইনরা। আর ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার লজ্জায় পড়ে রোনালদোর পর্তুগাল। ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের গোলে জার্মানির কাছে বিশ্বকাপের টানা তিন আসরে স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার।
এই মৌসুমে মেসি
(বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনা)
ম্যাচ: ৫৬
গোল: ৪৬
অ্যাসিস্ট: ১৮
শিরোপা: লা লিগা, কোপা দেল রে
এই মৌসুমে রোনালদো
(রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগাল)
ম্যাচ: ৪৭
গোল: ৪৮
অ্যাসিস্ট: ১০
শিরোপা: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ, ইউয়েফা সুপার কাপ, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালিস্ট।