রোববার সকাল ১০টা দশে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরীক্ষার ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ফলাফল পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষাপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ফল ঘোষনা করা হচ্ছে। কেউ অকৃতকার্য হলে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও বিদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।
এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র, ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন। পাবলিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।