ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া এখন কলকাতায়। ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার আগে সঙ্গে তার গাওয়া গান ‘পটাকা’সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। ‘পটাকা’ শিরোনামের গানটি এরইমধ্যে আলোচনা-সমালোচনায় চলে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গানটিকে ঘিরে বেশকিছু পোস্ট দেখা যাচ্ছে। ‘পটাকা’ লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল। সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।ইউটিউবে লাইকের চেয়ে ডিসলাইক বেশি গানটির। মূলত এ নিয়েই ফারিয়া এখন টক অব দ্য শোবিজ। এই সমালোচনা কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসলাইক কারা দিচ্ছে সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। আমার গানটি লাখ লাখ মানুষ দেখেছে এবং এখনো দেখছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমি যা করেছি, তা শ্রোতাদের জন্যই করা। তবে খারাপ লাগার জায়গা হলো, নেতিবাচক কথার পাশাপাশি গানটি নিয়ে অনেক ভালো প্রতিক্রিয়া এলেও সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেমন অনেক শিল্পী আমার গান প্রকাশের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তা কোথাও কেউ বলছে না। তাছাড়া আজকাল হ্যাক করেও ডিসলাইকের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। তাই আমি এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। তাহলে কি তার শত্রুপক্ষের কেউ এটা করছে বলে মনে করেন ফারিয়া? এর জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আর করতে চাই না। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু মাথায় রেখেই গানটি করেছি। কাউকে আঘাত করা বা বিতর্ক ছড়াবে, এমন কোনো সুযোগ রাখিনি ওতে। খুবই সাধারণভাবে গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেছি, নেচেছি ও বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে কষ্ট দিয়েছে যে, ঠিক আছে খারাপ করতেই পারি, কিন্তু ভালো-মন্দের উপযুক্ত ব্যাখ্যাটা তো করা উচিত। আচ্ছা গানটি আসলে কি বিষয় নিয়ে করা, সেটা স্পষ্ট করে বলা যাবে কি ? ফারিয়া উত্তরে বলেন, গানটিতে খুবই সাধারণভাবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেছি। ‘তুমি আমার হৃদয় ভেঙে দেয়ার পরও আমি গুটিয়ে যাইনি’। এটাই তো পটাকার মানে। এর বাইরে কাউকে উসকানি তো দিইনি। এ গানটি তো আমি একা বানাইনি, সম্ভবও নয়। এটা খুবই সাধারণ একটি গান, ক্লাসিক্যাল গান নয়। তাছাড়া আমি নিজে পেশাদার সংগীতশিল্পীও নই। আমি শুধু কাজটিকে একটু ভিন্নভাবে দর্শক-শ্রোতার কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। এর বেশি কিছু না। রেডিও জকি হিসেবে কাজ, টিভিতে উপস্থাপনা, এরপর বিজ্ঞাপনের মডেল এবং সবশেষে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। বলতে গেলে সবখানেই তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। গান নিয়ে যতকিছু ঘটুক, দিন শেষে নুসরাত ফারিয়া অনেক খুশি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে রূপালী পর্দায় আসা এ অভিনেত্রী এরই মধ্যে দর্শকদের বেশ কিছু ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘আশিকী’, ‘হিরো ৪২০’, ‘ধেৎতেরিকি’, ‘প্রেমী ও ‘প্রেমী’, ‘বস টু’ এবং ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’। সবশেষ গেল জানুয়ারিতে বাংলাদেশে তার অভিনীত এবং অশোক পতি পরিচালিত ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ ছবিটি মুক্তি পায়। এ ছবিতে কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ফারিয়া। কলকাতায় কি নতুন কোনো ছবির মিটিংয়ে গিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই একটা কাজে এসেছি। কিন্তু কি কাজে এসেছি, আর সেটা কি ফিল্ম না অন্যকিছু তা এখনই জানাতে চাই না। তবে একটা বিষয় জেনে ভালো লেগেছে যে, বাংলাদেশের বাইরে এসে বুঝলাম ভারতের অনেকেই আমার গানটি নিয়ে বেশ পজিটিভ আলোচনা করছে। ভারতের সংগীত বাংলা চ্যানেল তো প্রায় সব সময়ই গানটি প্রচার করছে। একটি গান দর্শক পছন্দ না করলে একটি টিভি চ্যানেল কখনই সব সময়ই চালাবে না। কেউ চ্যানেলের টিআরপি খারাপ করতে চায় না। তাই এখানে পজিটিভ সাড়া পেয়ে বেশ ভালো লাগছে আমার।