ইসলামী সলিডারিটি আরচারিতে শুরুর দিনেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলাদেশের আরচাররা। রিকার্ভ পুরুষে রোমান সানা ও কম্পাউন্ড বিভাগের মহিলা এককে বাংলাদেশের রোকসানা আক্তার র্যাঙ্কিং রাউন্ডে প্রথমস্থান দখল করেন। সকাল থেকেই খেলা শুরু হলেও টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে বিকালে। দুপুর তিনটায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় আইএসএসএফের মহাসচিব মোহামেদ সালেহ আল গারনাস, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল উপস্থিত ছিলেন।এদিন রিকার্ভ পুরুষ এককের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৭২টি তীর ছুড়ে ৭২০ স্কোরের মধ্যে ৬৬৬ স্কোর র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে বাংলাদেশের রুমান সানা। সৌদি আরবের বিনালী আবদালেলাহ ৬৫২ স্কোর করে দ্বিতীয় স্থানে, বাংলাদেশের মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম ৬৪৭ স্কোর করে তৃতীয়, তুরস্কের বেরেকেত বুরাক ৬৪৫ স্কোর করে চতুর্থ এবং এস্তোনিয়ার উনা মার্ট ৬৩৩ স্কোর করে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন।অন্যদিকে কম্পাউন্ড বিভাগের মহিলা এককে ৭২টি তীর ছুড়ে ৭২০ স্কোরের মধ্যে ৬৭৬ স্কোর করে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমস্থানে বাংলাদেশের রোকসানা আক্তার। ৬৭২ স্কোর করে দ্বিতীয়স্থানে এস্তোনিয়ার হোইম এমিলী, ৬৬৬ স্কোর করে ইরাকে আলমাসহাদানী ফাতিমাহ তৃতীয়, ৬৫৯ স্কোরে বাংলাদেশের বন্যা আক্তার চতুর্থ এবং ৬৫২ স্কোর করে স্বাগতিক দলের রিতু আক্তার পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা বাংলাদেশের আরচার রুমান সানা বলেন, ‘সকালের দিকে একটু বাতাস বেশি ছিল। এজন্য অনেকে স্বাভাবিকভাবে তীর ছুড়তে পারেনি। এক্ষেতেও আমি অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি। তাই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি।’ কম্পাউন্ড আরচার আবুল কাশেম মামুন বলেন, ‘আমরা পদকের জন্য লড়ব। গত আসরে দেশের পতাকা যেভাবে তুলে ধরেছিলাম এবারও চাই সেভাবে তুলে ধরব।’ ১৮ দেশের আরচাররা টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও প্রথম দিনে সব ইভেন্টে অংশ নিতে পারেননি তারা। তবে বাংলাদেশের সর্বাধিক পদক জয়ের আশায় দ্বিমত পোষণ করলেন মামুন, ‘ইরাক ও তুরস্কসহ ক’টি দেশের অনেক ভালো মানের আরচার এসেছেন এবারের আসরে। তারা বিশ্বপর্যায়ে পদক জিতেছেন। তাই এবার আমাদের সেরার বিষয়টি আগে থেকে বলা যাচ্ছে না।’ কোচ ফ্রেডরিক মার্টিন বলেন, ‘প্রথম দিন হিসেবে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছে। অনেকে বলছেন, মানের স্তর নিয়ে। আমি যতটুকু জানি বিশ্বমানের খেলোয়াড়ও রয়েছে এখানে। বাংলাদেশের আরচারদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটা মঞ্চ এই টুর্নামেন্টটি।’ তবে টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য্যহানি ঘটে ইরাক দল টার্ফ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে। প্রখর রোদে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং তাদের ডেলিগেটকে মঞ্চের সামনের সারিতে জায়গা না দেয়ায় একপর্যায়ে তারা বেরিয়ে হোটেলে চলে যায়।