জামিনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট কম সাজার বিষয়টি উল্লেখ্য করে জামিন দিয়েছেন, কিন্তু দণ্ড দেয়ার পর জামিনের জন্য কম সাজার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে না। তিনি মাত্র ৩ মাস হলো বন্দি রয়েছে। বন্দির সময়টা যদি দুই বা আড়াই বছর হয় তবে জামিনের বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে পারে।
বয়স ও অসুস্থতা নিয়ে খুরশিদ আলম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত হলে জামিনের জন্য বয়সটা বিবেচনায় আসবে না। আর অসুস্থতার বিষয়টি জেলকোট অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। কিন্তু একই মামলায় তাকে কম সাজা আর বাকীদের বেশি সাজার বৈষম্য করা হয়েছে। হয় সবাইকে ৫ বছর অথবা সবাইকে ১০ বছর সাজা দেয়া উচিত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্টের দেখা খালেদা জিয়ার জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে মামলাটি শুনানির জন্য আজকের দিন (৮ মে) দিন ধার্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেদিন থেকেই খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি আছেন।