বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন খুব জনপ্রিয়। বেশির ভাগ বাবা-মা এখন চান তাদের সন্তানদের মাশরাফি, সাকিবের মতো ক্রিকেটার বানাতে। যে কারেণ সন্তানদের ভর্তি করছেন নানা একাডেমিতে। ঢাকাতেই আছেন এমন অসংখ্য একডেমি। সেখানে খেলছে কয়েক হাজার খুদে ক্রিকেটার। ঠিকমতো পরিচর্যা না হওয়াতে সেখান থেকে খুব বেশি ক্রিকেটার উঠে আসছে না।একাডেমির কোচদের মান নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এসব দিকে বিবেচনা করেই ঢাকার ক্রিকেট একাডেমির দিকে নজর দিয়েছে বিসিবি। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের পাইপ লাইন মজবুত করতে বিসিবির গেমডেভেলপমেন্ট কমিটি উদ্যোগ নিয়েছে একাডেমি কাপ আয়োজনের। ২০শে মে থেকে শুরু হবে এ আসর। প্রথমবারের মতো এ আসর নিয়ে গেমডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ঢাকায় অনেক ক্রিকেট একাডেমি আছে। তবে এখন আমরা মাত্র ৩২টি দল নিয়ে এ ‘বিসিবি একাডেমি কাপ ২০১৮’ আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমরা যাদের মাঠ, কোচ ও একাডেমির সময় দেখেই দলগুলোকে নির্বাচন করেছি। এখানে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটার বের করে আনা। এখানে যে চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে তাদের উন্নত অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে বিসিবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোর মধ্যে অনেক ক্রিকেট একেডেমি আছে। এগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আমরা চাইছি বিসিবির আওতায় আনতে। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে নতুন ক্রিকেটার তৈরী করতে।’ আগামী ২০শে মে থেকে ৫ই জুন ঢাকার তিন ভেন্যু বিকেএসপি, সিটি ক্লাব মাঠ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হচ্ছে বিসিবি একাডেমি কাপ। এই টুর্নামন্টে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই ক্রি?কেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) নিবন্ধনভুক্ত প্রিমিয়ার ডিভিশন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্লাব ও একাডেমির বাইরের হতে হবে। এমনকি বয়সভিত্তিক দলে খেলা এমন ক্রিকেটারও অংশ নিতে পারবেন না একাডেমি কাপে। তাদের বয়স হতে হবে ১৫-১৮ বছরের ম?ধ্যে। এখান থেকে বাছাইকৃত ১৫-২০ জন ক্রি?কেটার ৫ সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রি?কেট একাডেমিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি সেরা চার একাডেমিকে উন্নত অনুশীলন সুবিধা প্রদান করবে বিসিবি। এ বিষয়ে বিসিবির পরিচালক ও গেমডেভেলপমন্টে কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘দেখেন আমরা যেমন চায়নাম্যান বোলার খুঁজছি, লেগ স্পিনার খুঁজছি হয়তো সেখান থেকে এমন বোলার পেয়েও যেতে পারি। তাই নিয়ম করেছি যারা আগে কোনো টুর্নামেন্টে খেলেছে। বিশেষ করে ধরেন অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫, ১৬, ১৭ তারা এখানে খেলতে পারবে না। একেবারে নতুন মুখ আমরা চাই।’
টুর্নামেন্টটি নকআউপ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়াতে দলগুলো খুব একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না। অনেক দলতো একটি ম্যাচ খেলেই ছিটকে পরবে টুর্নামেন্ট থেকে। তাই এত অল্প ম্যাচ খেললে কিভাবে ক্রিকেটাররা প্রমাণের সুযোগ পাবে তা নিয়ে সুজন বলেন, ‘আমরা এখানে জানি ম্যাচ খেলার সুযোগ কম থাকবে। তাই আমারা ক্রিকেটারদের খেলার ধরনের উপরও নজর রাখবো। হতে পারে অনেক ভালো খেলে কিন্তু একটি রান আউট হয়ে গেছে বা হঠাৎ করেই আউট হয়ে গেছে। আমাদের তার এপ্রোচটাও খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের আসলে নজর রাখতে হবে। যেন এখান থেকেই প্রভাবানদের বের করে আনতে পারি। আর এবারতো এর জন্য তেমন বাজেট ছিল না। হঠাৎ করেই আয়োজন আশা করি সামনের বার এটির জন্য আলাদা বাজেট থাকবে। সেখানে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করার সুযোগও থাকবে। এবারতো এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিয়েছি।’