শতভাগ ধর্মবিশ্বাসী জনসংখ্যা রয়েছে, এমন দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। অপরদিকে চীনে ধর্মে বিশ্বাস নেই এমন মানুষ বা নাস্তিকের হার সবচেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের এক জরিপে এই তথ্য উঠেছে। এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক এই খবর দিয়েছে। প্রায় ৬৮টি দেশে ৬৬ হাজার মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ নিজেকে ধার্মিক বলে পরিচয় দিয়েছেন। ৭৪ শতাংশ মানুষ আত্মায় বিশ্বাস করেন। ৭১ শতাংশ মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন। ৫৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন স্বর্গে। ৫৪ শতাংশের পরকালে বিশ্বাস আছে। ৪৯ শতাংশ মনে করেন নরকের অস্তিত্ব আছে।
খবরে বলা হয়, শতকরা হারের দিক থেকে চীনে নাস্তিকের হার সবচেয়ে বেশি। দেশটির ৬৭ শতাংশ মানুষই ধর্মে বিশ্বাস করেন না। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দিয়েছেন। ২৩ শতাংশ চীনা ধর্মে বিশ্বাস করলেও, ধর্মীয় বিধান পালন করেন না। মাত্র ৯ শতাংশ নিজেকে ধার্মিক বলে পরিচয় দিয়েছেন।
নাস্তিক নাগরিকদের হারের দিক থেকে চীনের পর জাপান (২৯%), ¯ে¬াভেনিয়া (২৮%) ও চেক রিপাবলিকের (২৫%) অবস্থান। দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়নের বিস্তৃতি ঘটলেও, দেশটির জনসংখ্যার বড় একটি অংশ এখনও ধর্মপরায়ণ। তবে দেশটিতে নাস্তিকের হার ২৩ শতাংশ। বেলজিয়াম (২১%), ফ্রান্স (২১%), সুইডেন (১৮%) ও আইসল্যান্ডের (১৭%) মতো ইউরোপের দেশগুলোতেও নাস্তিকের হার উল্লেখযোগ্য।
অপরদিকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে আস্তিকের হার সবচেয়ে বেশি। দেশগুলোতে আস্তিকের হার শতভাগ। ঈশ্বর, আÍা, স্বর্গ ও নরকে বিশ্বাসীর হারও এই তিন দেশে সবচেয়ে বেশি। থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানে বিশ্বাসীর হার প্রায় ৯৯ শতাংশ। এরপরেই আছে ভারত, ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়ার অবস্থান।
খবরে বলা হয়, উত্তরদাতাদের মধ্যে শিক্ষার হার ও আয় যাদের বেশি, তাদের মধ্যে ধর্মপরায়নতার হার কম। নি¤œ আয়ের মানুষদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই ধার্মিক। উচ্চ আয়ের মানুষদের মধ্যে এই হার ৫০ শতাংশ। নি¤œশিক্ষিত মানুষের ৮৩ শতাংশই ধার্মিক। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে ধার্মিকের হার মাত্র ৪৯ শতাংশ।
জরিপ অনুযায়ী, মানুষের ধর্মপরায়ণতা ও ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে বয়স, আয় ও শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আয় ও শিক্ষা যাদের বেশি, তাদের মধ্যে ধার্মিক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া তরুণদের মধ্যে সংশয়বাদীতা বা নাস্তিক্যের হার বেশি। এছাড়া নারী ও শিশুদের মধ্যে আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতি বিশ্বাস থাকার প্রবণতা বেশি কাজ করে।