এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের আরও একটি জয়! প্রথম ৬ ম্যাচে একটি ম্যাচ জিতেছিল যারা, গত ৫ ম্যাচে তারা তুলে নিল চার জয়। এর মধ্যে সর্বশেষ তিন ম্যাচে এসেছে টানা জয়। মুম্বাই মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৫–কে। সেবারও আইপিএলে প্রথম ৬ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। সেই মুম্বাই-ই শেষে চ্যাম্পিয়ন!
মুম্বাই খুব যে খারাপ খেলছিল, তা–ও নয়। জিততে জিততে হেরে যাচ্ছিল। যেন কারও অভিশাপ লেগেছিল তাদের। রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসেরই হবে হয়তো। এবার বাতিল হয়ে যাওয়া দলটি গতবার ফাইনালে হেরে যায় মাত্র ১ রানে। আর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা মুম্বাই প্রথম ম্যাচটা হারে চেন্নাইয়ের ১ উইকেট আর ১ বল বাকি থাকতে। দ্বিতীয় ম্যাচেও এক উইকেটের হার, সে–ও শেষ বলে! তৃতীয় ম্যাচেও শেষ বলে হার।
চতুর্থ ম্যাচে জয় এল বটে। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না। পঞ্চম ম্যাচে আবারও ২ বল বাকি থাকতে হার। ষষ্ঠ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হার আসার পর মুম্বাইয়ের পিঠ ঠেকে গেল দেয়ালে। আর এক ম্যাচ হারলেই হয়তো বাদ, এমন সমীকরণ। দলে আনা হলো বেশ কিছু পরিবর্তন। শুধু একাদশের নামগুলোয় নয়, আনা হলো কৌশলগত কিছু পরিবর্তনও। তাতেই আসতে শুরু করল ফল।
মুম্বাই এবারের সেরা ম্যাচটি খেলল কাল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই সেরাটা ঢেলে দিল তারা। কলকাতায় কেকেআরের বিপক্ষে এই জয়। সেরা চারের জায়গা করে নিতে কেকেআরের সঙ্গেই মূল লড়াই ছিল মুম্বাইয়ের। ফলও মিলল। কালকের ১০২ রানের বিশাল জয় মুম্বাইকে তুলে আনল পয়েন্ট টেবিলের সেরা চারে।
কাজ অবশ্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি। মুম্বাইকে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে জিততেই হবে। মুম্বাইয়ের শেষ তিন ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালস (১৩ মে), কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (১৬ মে) ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (২০ মে) বিপক্ষে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ নিজেদের মাঠে।
মুম্বাই নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে পারে ২০১৫ দিয়ে।
আইপিএল পয়েন্ট টেবিল
দল | ম্যাচ | জয় | হার | পয়েন্ট |
হায়দরাবাদ | ১০ | ৮ | ২ | ১৬ |
চেন্নাই | ১০ | ৭ | ৩ | ১৪ |
পাঞ্জাব | ১০ | ৬ | ৪ | ১২ |
মুম্বাই | ১১ | ৫ | ৬ | ১০ |
কলকাতা | ১১ | ৫ | ৬ | ১০ |
রাজস্থান | ১০ | ৪ | ৬ | ৮ |
বেঙ্গালুরু | ১০ | ৩ | ৭ | ৬ |
দিল্লি | ১০ | ৩ | ৭ | ৬ |