জিয়া, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান: ফটোগ্রাফার হবার স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন জুয়েল। নিজের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য দিনের পর দিন শ্রম দিচ্ছেন। চষে বেড়াচ্ছেন দেশ এবং দেশের বাহিরে। পরিশ্রমের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি নিয়ে নানা ধরনের কর্মশালা, কোর্স এবং পড়াশোনাতেও ব্যস্ত তিনি। চাওয়া এইটুকুই দেশের একজন দক্ষ এবং ভালমানের ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করা। তার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করা; ক্যামেরা ফ্রেমের থাকা ছবিগুলো ছড়িয়ে দেয়া সারা বিশ্বে।
পুরো নাম ফারহান খান জুয়েল। শুধু একজন ভাল ফটোগ্রাফারই হবার প্রত্যয়ই শুধু নয় সঙ্গে পড়াশোনা কারণটাও ছিল। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বিবিএ সম্পূর্ন করেছেন। তারপর মনেপ্রাণে ফটোগ্রাফার হবার প্রত্যাশাই বুকবাঁধা। সেটি নিয়ে এগিয়ে চলেছে ক্যামেরা হাতে নেয়া এই প্রতিভাবান তরুণ।
এই পর্যন্ত বড় বড় যে কাজগুলো করেছেন জুয়েল তার মধ্যে উলেখ্যযোগ্য একমি, কিংসস্টার মোবাইল, যুমনা ফ্রিজ, আরএফএল ওয়াটার পাম্প, আরটিভি ভিট লুক অ্যাট মি, বিডি হিপহপ ফেস্ট ২০১৫, আপেক্স ফোমম, এনারজি প্লাস, আই পি এল, রাজশাহী কিংস। এছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়ারদেরও ফটোশ্যুট করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইস্যুতে।
দেশের বাহিরে ভারতের টালিগঞ্জেও কাজ করেছেন। রাজা তাবা দত্ত, শাহরুখ নেওয়াজ, সম্রাট মায়তিসহ আরো অনেককে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
গুলশান এ গড়ে তুলেছেন নিজের প্রতিষ্ঠান। নাম দিয়েছেন স্টুডিও বাজেল। বর্তমানে কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মুম্বাই তে এই তরুণ । তিনি নিজের জ্ঞানটুকু উজার করে দেন যেন কোনো কাজে। জুয়েল নানা ধরনের ফটোগ্রাফি করলেও ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। ওয়েডিংয়ে অনেক ভালো কাজের সুযোগ আছে ভেবেই তিনি এই সেক্টরে পথ চলছেন। ভবিষ্যতে নিজে একটি প্রোডাকশন হাউজ খুলে দেশের সেরা কাজ তার সেই প্রতিষ্ঠান থেকে হবে এটাই আশা তার।
ফারহান খান জুয়েল ২০১০ সালে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি থেকে বেসিক কোর্স সম্পন্ন করে। চঞ্চল মাহমুদের কাছ থেকে ফ্যাশনের উপর ডিপ্লোমা কোর্স এবং প্রীতরেজার কাছ থেকে ওয়েডিংয়ের উপর কোর্স করেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ফটো জার্নালিজম ফোরাম থেকে দার্জিলিংয়ে ফটো ওর্য়াকশপ করেছেন।
ফারহান খান জুয়েল বলেন, ‘আমি মনে করি ফটোগ্রাফি আগের মত সে অবস্থা নেই। বর্তমানে ফটোগ্রাফি নিয়ে খুব ভালো মানের কাজ হচ্ছে। নতুনরা এগিয়ে আসছে তবে একা সব কিছু বদলে ফেলা সম্ভব নয়। টিম গঠন করে কাজ করলে আরো ভালো কিছু করা সম্ভব।’
তিনি স্বদেশ নিউজকে আরো বলেন, ‘ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে অনেক ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। আসলে ভালোর কোনো শেষ নেই; কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে। একটু পড়াশোনা আর মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে ভালো কিছু হবেই এটা আমার বিশ্বাস। আমি সেই বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আর আমি নিজেকেও নতুন মনে করি। তাই সততা নিয়ে কাজ করলে সাফল্য অবশ্যই পাওয়া যায়। কিন্তু সবার আগে একজন ভাল মানুষ হতে হবে।’