মাত্র এক দিন আগে একটি মেছোবাঘকে পিটিয়ে মারার পর একই ইউনিয়নে আরেকটি মেছোবাঘকে জীবিত আটক করেছেন গ্রামবাসী। এ সময় গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে আরও দুটি মেছোবাঘ পালিয়ে যায়।
২৪ মে, বৃহস্পতিবার ভোরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন পূর্বপাড়ার একটি পুকুর থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার একই ইউনিয়নের ঘোপঘাট দক্ষিণ পাড়ায় একটি মেছোবাঘকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যা করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, মিটাইন পূর্বপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ছোটাছুটির শব্দ শুনতে পান। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পান তিনটি মেছোবাঘ ছোটাছুটি করছে।
২২ মে, মঙ্গলবার বাগাটি ইউনিয়নের ঘোপঘাট দক্ষিণ পাড়ায় মেছোবাঘটিকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যা করেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত
পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেছোবাঘ তিনটিকে ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় ছোট মেছোবাঘটি পালাতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় এবং অন্য দুটি পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী পুকুর থেকে ছোট মেছোবাঘটিকে আটক করে। এ সময় আঘাতে আহত হয় মেছোবাঘটি।
আটকের পর সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে চিকিৎসক গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং মেছোবাঘটি উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রব জানান, একটি মেছোবাঘ আটক করা গেলেও অন্য দুটি পালিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী আতঙ্কে রয়েছেন।
মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহকারী চিকিৎসক মিজানুর রহমান জানান, চিকিৎসার পর এখন মেছোবাঘটি সুস্থ।
ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, মেছোবাঘ মানুষের তেমন কোনো ক্ষতি করে না। সাধারণত মাছ, মুরগি—এগুলো খায়। রাতের যেকোনো সময় মেছোবাঘটিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসা হবে।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ‘মেছোবাঘ মানুষের জন্য বিপজ্জনক না হওয়ায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা রাতে সেটিকে লোকালয় থেকে দূরে কোথাও অবমুক্ত করে আসবে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’