(ইউএনবি) ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার যেকোন সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ মে শুক্রবান্ন শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এর পর বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার পর বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নে ভারত যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
এ ছাড়া ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিবেশির সঙ্গে সদ্ভাব প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যের পর বক্তৃতা করেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শুক্রবান্ন সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলিসেন। এ ছাড়া রবীন্দ্র ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী্যর্ এএইচ মাহমুদ আলী , শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ , সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র ও জ্বালানিবিষয়ক চার উপদেষ্টা তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগদান এবং আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন।