দেশের ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার প্রভাবে বেড়েছে কর্মী ছাঁটাই ও পদত্যাগের সংখ্যা। আর কর্মী ছাটাইয়ের ঘটনায় কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে ব্যাংক খাতে ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই ও পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।
২৪ মে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে ২০১৬ সালে মোট কর্মকর্তা ছিলেন ৯০ হাজার ২৬৫ জন। যা ছাঁটাই, পদত্যাগসহ বিভিন্ন কারণে ২০১৭ সালে এসে কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ২৪৫ জন। এক বছরে কর্মকর্তা কমেছে ৯ হাজার ২০ জন। এদিকে মানবসম্পদ উন্নয়নেও ব্যয় কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকের পরিচালনা খরচের ১০০ টাকার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যয় হয় মাত্র ২৫ পয়সা। প্রশিক্ষণে বাজেটও কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। ৬১ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন ব্যাংক খাতে নীতিবান নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। এ কারণেই এ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে তিনি অনুষ্ঠানটি শুরু করেন।
এরপর কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলামে নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
এ সময় তাজুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ব্যাংকগুলো কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। ১০০ টাকা অপারেটিং ব্যয়ের মধ্যে মাত্র ২৫ পয়সা কর্মীদের উন্নয়নে ব্যয় করেছে ব্যাংক, যা খুবই হতাশাজনক। আন্তর্জাতিকভাবে অপারেটিং খরচের দুই থেকে তিন শতাংশ ব্যয় করা হয়। একইসঙ্গে এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংক তাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের ব্যয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।