আশরাফুল আলম,ভৈরব- কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ||
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৮ জুন ১২:৩৬ সময় 24 Hours Bangla News Our Kuliarchar- -আমাদের কুলিয়ারচর ফেইসবুক আইডিতে ‘‘কোচিংয়ের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছয়সূতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা’’ শিরোনাম লিখে একটি সংবাদ পোষ্ট করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, ধূপাখালী গ্রামের হুসনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী কোচিংয়ের টাকা পরিশোধ করতে না পারায়, ক্লাশ রুমে সহ-পাঠিদের সামনে লাঞ্চনা করে এক স্কুল শিক্ষক, ঐ লাঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে রাগে,অপমানে,আত্মহত্যা করেন ঐ শিক্ষার্থী। উক্ত লিখা বিভিন্ন ফেইসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপারের সৃষ্টি হয়। এ সংবাদ পেয়ে গত ৯ জুন শনিবার বিকেলে সরেজমিনে স্কুল ছাত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ধূপাখালী গ্রামে গিয়ে কথা হয় স্কুল ছাত্রী মা মিনারা (৪০) এর সাথে, তিনি বলেন, তার মেয়ে গত পরীক্ষায় তিন বিষয়ে নাম্বার কম পাওয়ায় ও নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ায় মেয়েকে একটু গালাগালি করেছিল। তাই অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়ের মা মিনারা ও বাবা শরীয়ত আলী বলেন, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করার পর এলাকার একটি কুচক্রী মহল তাদের বাড়ীতে আসিয়া ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজী না হওয়ায় তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেইসবুকে মিথ্যা কথা লিখে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যাহা আদৌ সত্য নয়। তাদের মেয়ে আত্মহত্যার পিছনে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক জড়িত নয় বলে এসব লিখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। এছাড়া এলাকাবাসী বলেন, হুসনা শাররীক প্রতিবন্ধ ছিলো মানুষের সাথে বেশী একটা মিস তোনা ঘুচিয়ে কথা বলতে পারতো না। ঐদিন হুসনার মা মিনা বেগম সকালে স্কুলের কোচিং এর বেতন ৬০০টাকার মাঝে ৪০০টাকা হুসনাকে দিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় হুসনার মা পাশের বাড়িতে প্রযোজনীয় কাজ শেষ করতে যায়। পড়ে ঘরে ফিরে দেখে মেয়ে হুসনা স্কুলে না গিয়ে তার পড়ার রুমে দন্হায় ফাঁস নিয়ে পরে পরে মা মিনারা আত্বচিৎকারে এলাকাবাসী এসে দেখে হুসনাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বাঁচাতে পারে নাই।
সহকারী প্রধান শিক্ষক হরিচয়ন দাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত ঘটনায় আমরা অবগত হয়েছি এবং উক্ত বন্ধের দিন স্কুল অফিস রুম খোলা পাওয়া এবং পাশের ক্লাস রুমে ক্লাস চলতে দেখলে তাকে প্রশ্ন করতেই সে বলেন সরকারের নিয়মেই স্কুলে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এবং প্রতি বিষয় থেকে ১৫০ টাকা করে মাসিক কোচিং ফ্রি নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০০টাকা মাসিক বেতন নেওয়া হয় বলে তিনি জানান। এছাড়া তিনি আরো বলেন মূলত আমাদের বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে একটি মহল বিভিন্ন ফেইসবুক আইডিতে মিথ্যা অপ-প্রচার করে আসছে। তিনি এসব পোষ্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার পিছনে যদি বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক জড়িত থাকে তাহলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে 24 Hours Bangla News Our Kuliarchar–আমাদের কুলিয়ারচর ফেইসবুক আইডির এডমিন আলী হায়দার শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এম তারেক নামে একটি আইডি থেকে, এলাকার কয়েকটি সামাজিক সংঘঠন ও বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে তথ্য জেনে সংবাদটি পোষ্ট করেছিলাম। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই বলে জানান। বর্তমানে তথ্য দাতারাও এই ঘটনা অস্বীকার করছে। এই হিসাবে সংবাদটির কোন ভিত্তি নেই।