রোববার মধ্য রাত থেকে শেষ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। গতকাল শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটছে না প্রার্থীদের। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেছেন নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত তার সক্রিয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে পুলিশ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতেও পুলিশ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দেয়। তার অভিযোগের মধ্যেই শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশের গাড়িতে চড়ে নির্বাচনী প্রচার কাজে যেতে দেখা যায়।পুলিশের গাড়িতে বসা তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতেও অন্তত ডজনখানেক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দ। শেষ তিনদিনে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে গতকাল রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন বিএনপি প্রার্থী।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ভোটের আর মাত্র দুইদিন বাকি। অথচ গত কয়েকদিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আমার নির্বাচনকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে থাকতে হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মামলা না থাকলেও গাজীপুর থেকে আটক করে অন্য জেলার থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য ভোটের দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের কেন্দ্র থেকে দূরে রেখে সরকারি দলের প্রার্থীকে জেতানো। এই পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে আমি রিটার্নিং অফিসারের কাছে আগেও অভিযোগ করেছি। গতকালও অভিযোগ করলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা এরই মধ্যে নির্বাচনের পরিবেশটাই ধ্বংস করে দিয়েছে।
অপর দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দলমত নির্বিশেষে নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করছে। এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থনের অভাব রয়েছে। এজন্য বহিরাগত মামলার আসামি-সন্ত্রাসীদের এনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। পুলিশ কোনো নিরীহ মানুষ ধরছে না। ধরছে মামলার আসামি, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীকে। কোনো নিরীহ মানুষকে ধরলে আমিই তাদের পাশে দাঁড়াবো।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে উল্লেখ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে বিএনপি প্রার্থী গত ১৮ই জুন রিটার্র্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছিলেন। এর আগে ওমরা পালন শেষে দেশে ফেরার পথে কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কাশিমপুরে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শওকত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঈদের আগে ৬ বিএনপি নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি পেলেও কারাফটক থেকে তাদের আবার গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রিটার্নিং অফিসারকে আবেদন করা হলেও পুলিশি গ্রেপ্তার, অভিযান ও হুমকি থাকেনি বলে জানান বিএনপির নির্বাচন পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দ।
এরপর নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হাসান উদ্দিন সরকারের সক্রিয় কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গতকাল করা আবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাদা পোশাকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা ও সানওয়ে মডেল স্কুল কেন্দ্র কমিটির সদস্য সচিব মো. কাওসার হোসেনকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে দাবি করা হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের গাছা অঞ্চল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দিন গ্রেপ্তার করা হয় পূবাইল ৪০ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. কাজিমউদ্দিনকে। আগের দিন ২০শে জুন রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আরো ১০ সদস্যকে। তাদের কারো বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই বলে জানা গেছে। তারা হলেন, কাশিমপুর অঞ্চল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শাহীন ও সদস্য শাহজাহান ডিলার। তাদের দু’জনকে গাজীপুর থেকে আটক করে সাভার থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোনাবাড়ি কেন্দ্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডা. মিলন ও মিলন মিয়া এবং সদস্য তাইজুল ইসলাম ও কাউলতলিয়ার শাহ আলমকে টাঙ্গাইল থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সায়েম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়ারা কেন্দ্র কমিটির সদস্য আবদুস সামাদের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। এছাড়া ২২নং ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন ও পূবাইল ইছালি ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আবদুস সামাদকে নারায়ণগঞ্জ ডিবি অফিসে পাওয়া যায়।
এছাড়া কাশিমপুর ও কোনাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে বিএনপি ও ২০ দলীয় সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী তৎপরতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি। গাজীপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিএনপি নেতা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী হাজী মো. ইসমাইল তাকে ফোন করে সতর্ক করেন। মোবাইলে বলেন, তালিকায় আপনার নাম আছে। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারেন। নির্বাচন থেকে সরে থাকুন। এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ কর্মী ইসমাইল বলেন, আমরা নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য মাঠে কাজ করছি। তবে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য কাউকে হুমকি দেইনি।
গাজীপুর পৌর বিএনপির সদস্য মো. ইজ্জত আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তারপরও আমি গ্রেপ্তারের আতঙ্কে রাতে বাড়িতে থাকি না। তবু গত শুক্রবার রাত ৩টায় আমার বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা আবদুস সালাম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে জয়দেবপুরের সামন্তপুর এলাকায় আমার বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়।
জানা যায়, একই রাতে বিএনপি প্রার্থীর মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মাজরুল আলমের বাড়ি ঘেরাও করে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির সচিব আবদুল মান্নান, কমিটির সদস্য শামশুল হক, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন কমিটি সদস্য সচিব লোকমান সরকারের বুরুলিয়ার বাসাসহ বিএনপির বহু নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
গতকাল বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্মীরা রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডলের কাছে গিয়ে তাদের প্রার্থীর পক্ষে ওই আবেদন জমা দিলে তিনি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের এসপিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, রাজনৈতিক ও নির্বাচনকর্মীকে হয়রানি না করার জন্য পুুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণা: বৃষ্টি উপেক্ষা করে গাজীপুরে চলছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রার্থীরা সময় পাচ্ছেন রোববার পর্যন্ত রাত পর্যন্ত। তাই শেষ সময়ে অধিক সংখ্যক ভোটার মন জয় করতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ভোটার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভোটের জন্য। তবে শনিবার সকাল থেকে মুশলধারে বৃষ্টির কারণে গাজীপুরে সিটিতে নির্দিষ্ট বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রচারণা শুরু করতে পারেননি কোনো প্রার্থী। আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এ নগরীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। আজ থেকে নির্বাচনী মাঠে টহল দিতে ৫৭ ওয়ার্ডে অতিরিক্ত এক প্লাটুনসহ মোট ৫৮ প্লাটুন বিজিবি অবস্থান করছে। এরই মাঝে নির্বাচনী সামগ্রীও এসে পৌঁছেছে। শনিবার সকাল থেকে টঙ্গীর হায়দারাবাদ ও মাঝুখান বাজারে বৃষ্টির মধ্যেই প্রচারণা চালান বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। এ সময় তিনি একাধিক পথসভায় অংশ নেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় দলের কর্মী সমর্থক ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঠে দেখা যায়।
এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই ছয়দানা এলাকার আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমে বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে অনেকে হাজির হন। বৃষ্টির কারণে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পর বেলা ১১টার পর বাসা থেকে বের হয়ে টঙ্গীর খরতৈল ও মুদাফা এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তিনি নগরীর উন্নয়নে নৌকা প্রতীককে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিকালে টঙ্গীতে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের বাসায় প্রেস ব্রিফিং এ জাহাঙ্গীর আলম, এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের যানমালের নিরাপত্তার লক্ষে আজ নগরবাসী দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। গত নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী, হেফাজত মিলে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে মেয়র পদে জয়ী হয়ে নগরের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারের উন্নয়নের স্বার্থে আমাকে সহযোগিতা করুন, ভোট দিন, আমি একটি বাসযোগ্য, আধুনিক নগর উপহার দেবো। এ সময় পোশাক মালিকদের সংগঠনের নেতা ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাওসার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি নির্বাচনের ধানের শীষের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম জানান, ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকার নগরের পুবাইল অঞ্চলের শুকুন্দির বাগ, মাজুখান, হায়দরাবাদ, মীরের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্র্রীয় নেতা গয়েশ্বর রায়, আমীর খসরু মাদমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, সোলায়মান খান ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণা চালান।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭ ওয়ার্ডে অতিরিক্ত এক প্লাটুনসহ মোট ৫৮ প্লাটুন বিজিবি অবস্থান করছে। রোববার থেকে নির্বাচনী মাঠে টহলে থাকবে তারা। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের বিভিন্ন উপকরণ ও সামগ্রী এরই মাঝে গাজীপুরে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে যথা সময়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, নির্বাচনে র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।